কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বায়েক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেনের বিরদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ উঠেছে। ওই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হয়রানী ও মিথ্যা অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল রোববার সকাল ১১টায় তাঁর নিজ গ্রাম বায়েক ইউনিয়নের কৈখলা গ্রামে জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, আসন্ন ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আল-মামুন ভূইয়া ও আওয়ামীলীগ নেতা নুরন্নবী আজমল তাকে জড়িয়ে বিভিন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে কুৎসা রটনা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিল্লাল হোসেন বলেন, তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বায়েক ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি এবং বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান থাকাকালীন দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে অংশ নেননি। কিন্তু আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য মাঠে তিনিসহ তাঁর সমর্থকরা প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারনাকে কেন্দ্র করে তাঁর প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশি আওয়ামীলীগ নেতা নুরন্নবী আজমল ও বর্তমান চেয়ারম্যান আল-মামুন ভূইয়া তাকে জড়িয়ে বিভিন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদপত্রে ভূমিদুস্যু আখ্যা দিয়ে প্রচারনা চালাচ্ছেন। তারা বলছেন, সরকারি জমি রেলওয়ের কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে আমি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছি। তিনি বলেন তাদের প্রচারনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
প্রকৃত পক্ষে তিনি কোন জায়গার মালিক নন বলে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান। তার বাবা ফজলু মিয়া ও মা ছালেহা বেগম বায়েক ইউনিয়নের বালিয়াহুড়া মৌজার সাবেক ২০৪ দাগ, হালে ২ দাগে ৪৫ শতাংশ ভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ৯৯ বছরের জন্য বন্দোবস্ত পায়। সেই হিসাবে ১৯৯৩ সালের ৩১ জানুয়ারি তাঁর বাবা ও মায়ের নামে সরকার একটি দলিল রেজিষ্ট্রি করিয়া দেয়। বিএস খতিয়ান সরকারি নামে অন্তভূক্ত হওয়ায় ২০১৪ সানে ৩০৭ নং মোকদ্দমার মাধ্যমে বিএস সংশোধন করে তার বাবা ও মায়ের নামে ২০৬ নং খারিজ খতিয়ান করেন। ওই জমি রেলওয়ে কতৃপক্ষ তাঁর বাবা ও মায়ের কাছ থেকে অধিগ্রহণ করছেন।
তিনি বলেন, আগামী ইউপি নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন। প্রতিপক্ষরা ঈর্ষান্বিত হয়ে তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে বিভিন্ন কুৎসা রটাচ্ছেন এবং তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মিথ্যা চাঁদাবাজীর মামলাও দিয়েছেন। তিনি এ সকল বিষয়ে কুৎসা রটনা, কারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। তিনি এ সকল মিথ্যা মামলা ও হয়রানী থেকে রক্ষা পেতে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক এর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগ নেতা ফেরদৌস ভূইয়া, মফিজ মাস্টার, শাখাওয়াত হোসেন, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।
অপরদিকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে গতকাল রোববার দুপুরে কসবা-নয়নপুর সড়কের বায়েক চৌমহনী এলাকায় মানববন্ধন করেছেন বায়েক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে বক্তব্য রাখেন, বায়েক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আল-মামুন ভুইয়া, বায়েক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. নুরুন্নবী আজমল। তারা বলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন সরকারি পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা নিজের নামে এনে রেলওয়ের কাছে হস্তান্তর করে কোটি টাকা আতœসাৎ করেছেন। তারা এলাকার সচেতন জনগন হিসাবে ঘটনাটির তদন্ত করে সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী জানান।