নগরীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা আদায়

গ্রেটার কুমিল্লা:
প্রশাসনের নির্ধারিত সময় সন্ধ্যা সাতটায় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ না করায় কুমিল্লা নগরীতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২০১৮ সালের সংক্রমকব্যাধী আইনে জরিমানা আদায় ও সতর্ক করা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে ওই আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু বকর সরকার।

করোনা সংক্রামন প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক মেডিসিনের দোকান ব্যতীত সকল ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সন্ধ্যা সাতটায় বন্ধের নির্দেশনা জারি করা হয়। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা নগরীতে মাইকিং করে জানানো হয়। অধিকাংশ ব্যবসায়ী আইন মানলেও কিছু কিছু ব্যবসায়ী আইন মানছেন না। যার কারনে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ওইসব ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা ও সতর্ক করা হচ্ছে।

সাতটার পর দোকান খোলা রাখায় নগরীর রাজগঞ্জ এলাকায় বিসমিল্লাহ বেডিং এন্ড পর্দা গ্যালারী দোকানের ব্যবসায়ীকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আবু বকর সরকার।

বুধবার রাতে নগরীর রাজগঞ্জ বাজার এলাকা বিসমিল্লাহ বেডিং এন্ড পর্দা গ্যালারী দোকানকে দুই হাজার টাকা, কান্দিরপাড় মনোহরপুর রয়েল সু স্টোর কে দুই হাজার, লাকসাম সড়কের টাওয়ার হাসপাতালের সামনে আলপনা ইভেন্টস ও আলপনা ভেরাইটিজ স্টোরকে ৫০০টাকা করে এক হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। তারা সবাই সন্ধ্যা সাতটায় দোকান বন্ধ না করে খোলা রেখে ব্যবসা করে যাচ্ছিলেন। তাছাড়া, কান্দিরপাড় ও কান্দিরপাড় পূবালী চত্বর এলাকায় হ্যান্ড মাইকে সকলকে আইন মেনে চলার জন্য আহবান ও সতর্ক করা হয়।
এর আগে রাজগঞ্জ ও মোগলটুলী এলাকায় একজন মোটরসাইকেল আরোহী সহ আরো দুইটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চার হাজার সাতশ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

লাকসাম রোডের অভয় আশ্রম এলাকার অভয় মেডিসিন সেন্টারের ব্যবসায়ী সাগর চন্দ্র দাসকে পণ্যের মূল্যের টেম্পারিং করে পরিবর্তনের অভিযোগে ৩০ হাজার টাকার জরিমানা ও অনাদায়ে ১৫ দিনের জেল প্রদান করা হয়।

অপরদিকে ভ্রাম্যমান আদালতের একই দল নগরীর লাকসাম রোডের অভয় আশ্রম এলাকার অভয় মেডিসিন সেন্টারের ব্যবসায়ী সাগর চন্দ্র দাসকে পণ্যের মূল্যের টেম্পারিং করে পরিবর্তনের অভিযোগে ৩০ হাজার টাকার জরিমানা ও অনাদায়ে ১৫ দিনের জেল প্রদান করা হয়। ব্যবসায়ী সাগর চন্দ্র দাস ১১২মিলি: স্যাভলন এন্টিসেপটিক বোতল যার এমআরপি ৪৪টাকা সেটি ঘষে টেম্পারিং করে ২৫০ টাকা করে বিক্রি করে আসছিলেন বলে অভিযোগ ছিলো। ব্যবসায়ী সাগর চন্দ্র দাস দোষ স্বীকার করে ভবিষ্যতে এমন অপরাধ করবেন না বলে ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে ক্ষমা চান।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সরকার বলেন, কুমিল্লার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীরের নির্দেশনায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে তা চলমান থাকবে।

Post Under