নবীনগরে হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ ফেলে স্বামী বেপাত্তা

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
মাত্র দেড় মাস বয়েসী শিশু সন্তান আর পাবেনা তার মায়ের কোল, ডাকতে পারবেনা মাকে। স্বামী-শ্বশুরালয়ের লোকদের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে গৃহবধূ সুমী আক্তারকে (১৯) চির বিদাই নিতে হলো এই পৃথিবী থেকেই। নারকীয় ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা এলাকার।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলার নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গৃহবধূ সুমী আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। এদিকে ঘটনার পরপরই নিহতের স্বামী প্রবাসী জয়নাল মিয়া (২৮) হয়েছেন বেপাত্তা।

নিহতের পরিবার, এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের দত্তবাড়ির সায়েব আলী মিয়ার পুত্র ওমান প্রবাসী জয়নাল মিয়ার সাথে পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মিয়া হোসেনের মেয়ে সুমী আক্তারের বিয়ে হয়। মাত্র দেড় মাস একটি সন্তান রয়েছে তাদের। বিয়ের পর থেকেই গৃহবধূ সুমী আক্তার শ্বশুরালয়ের নানান গঞ্জনা সয়ে আসছিলো। প্রায়শই হতেন নির্যাতনের শিকার। এসবেরই ধারাবাহিকতায় গৃহবধূ সুমী আক্তারকে তার স্বামী জয়নাল মিয়ার পরিকল্পিতভাবে খুন করে ফাঁসির নাটক সাজায়। পরবর্তীতে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে সুমীর লাশ ফেলে তার স্বামী জয়নাল মিয়া বেপাত্তা হয়ে যায় বলে পরিবারের অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে নবীনগর থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় জেলা সদর হাসপাতালে।

নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘ময়না তদন্তের জন্য লাশ জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে । ঘটনার সত্যতা যাচাই করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

 

Post Under