এমদাদুল হক সোহাগ:
নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার আয়তন প্রায় দেড় হাজার বর্গ কিলোমিটার। হাতিয়া উপজেলাকে হাতিয়া দ্বীপ উপজেলাও বলা হয়। এ উপজেলার কিছু অংশ সুবর্নচর উপজেলার পাশে দেশের মূল স্থলভাগের সাথে পড়েছে। বাকি বেশিরভাগ অংশই নদীর ওপারে অর্থাৎ দ্বীপের মধ্যে। ছোটবড় অনেকগুলো দ্বীপ নিয়েই হাতিয়া উপজেলা। হাতিয়া দ্বীপে প্রবেশের একমাত্র উপায় নৌপথ। হাতিয়া সম্পর্কে যাদের ধারনা কম তারা হয়তো হাতিয়াকে খুব ছোট একটি দ্বীপ মনে করতে পারেন। আসলে তা না। হাতিয়ায় প্রবেশ করার পর বুঝা যায় আসলে হাতিয়া কতবড়। হাতিয়ায় রয়েছে একটি পৌরসভা। পৌরসভার ভেতরেই মূল প্রশাসনিক দপ্তরসমূহ অবস্থিত। রয়েছে সিনিয়র সহকারী জজ ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ঢাকা, চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি জাহাজে করে হাতিয়া দ্বীপে যাওয়া আসা করা যায়। কুমিল্লা-ফেনী-নোয়াখালী থেকে স্থলপথে নোয়াখালীর সোনাপুর হয়ে সুবর্নচর উপজেলা পার হয়ে যেতে হয় হাতিয়া। হাতিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাট থেকে স্পীডবোট, ট্রলারে করে হাতিয়া দ্বীপে যেতে হয়। তাছাড়া সকালে চেয়ারম্যান ঘাট থেকে সী-ট্রাকও ছেড়ে যায় হাতিয়া দ্বীপের উদ্দেশে। হাতিয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন নিঝুম দ্বীপ। একসময় জাহাজমারা ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত ছিলো নিঝুম দ্বীপ। ২০১৩ সালে নিঝুম দ্বীপকে আলাদা একটি ইউনিয়ন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। হাতিয়া দ্বীপ থেকে নিঝুম দ্বীপ যেতে পাড় হতে হয় নদীপথ। ট্রলার ও স্পীডবোটে মুক্তারিয়া ঘাট থেকে নিঝুম দ্বীপ প্রবেশ করতে হয়। মুক্তারিয়া ঘাট থেকে নিঝুমদ্বীপ ঘাট বেশি দূরে না। স্পীডবোটে মাত্র দুই মিনিট সময় লাগে। হাতিয়া এবং নিঝুম দ্বীপে রয়েছে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান। যেখানে গেলে যে কারোরই মন ভালো হয়ে যায়। সম্প্রতি হাতিয়া এবং নিঝুম দ্বীপের কিছু ছবি এই প্রতিবেদকের ক্যামেরায় উঠেছে। চলুন দেখে নেয়া যাক ছবগিুলো…..