তসলিমার পোস্টের শুরুতেই নুসরতের সঙ্গে নিখিল জৈনের সম্পর্কের খতিয়ান। দু’জনের সম্পর্ক যে আর মধুর নয়, ‘খবর’ দেখে তা বুঝেছেন তসলিমা। তার প্রশ্ন, ‘…এই যদি পরিস্থিতি হয়, তবে নিখিল আর নুসরাতের ডিভোর্স হয়ে যাওয়াই কি ভালো নয়? অচল কোনও সম্পর্ক বাদুড়ের মতো ঝুলিয়ে রাখার কোনও মানে হয় না। এতে দু’পক্ষেরই অস্বস্তি’।
বিতর্ক কখনও পিছু ছাড়েনি তসলিমার। অনেকটা নুসরাতের মতোই। আবার অভিনেত্রীর মতো লেখিকাও বরাবর চলেছেন নিজের মতে। তসলিমা লিখেছেন, যখন নুসরাত আর নিখিল বিয়ে করলেন, বেশ আনন্দ পেয়েছিলাম। ঠিক যেমন আনন্দ পেয়েছিলাম, সৃজিত আর মিথিলা যখন বিয়ে করেছিলেন। অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করি বলে দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে বিয়ে হলে খুব স্বাভাবিক কারণেই পুলকিত হই’।
তবে মাত্র কয়েক মাসেই ‘চোখ জুড়ানো জুটি’-র পথ চলা থেমে যাওয়া দেখতে ভাল লাগছে না তসলিমার। সে কথাও অকপটে স্বীকার করেছেন ‘লজ্জা’-র রচয়িতা।
ব্যক্তিগত আলাপ নেই। তবে পর্দায় নুসরাতকে দেখে তাকে ‘আত্মনির্ভর’ বলে মনে হয়েছে লেখিকার। তসলিমা মনে করেন, একজন নারী স্বনির্ভর এবং সচেতন হলে সন্তানের অভিভাবক তিনি নিজেই হতে পারেন। পিতৃপরিচয়ের মুখাপেক্ষী তাকে হতে হয় না। নুসারতকে সেই ভাবেই সন্তানকে বড় করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
তসলিমার পরামর্শ, পুরুষ তো শেষ পর্যন্ত পুরুষই। এক জনকে ত্যাগ করে আরেক জনকে বিয়ে করলে খুব যে সুখময় হয়ে ওঠে জীবন, তা তো নয়’। তাই মনের মতো সঙ্গী পাওয়ার এই ‘রেস’ থেকে নুসরাতকে বিরত থাকার উপদেশ দিয়েছেন তিনি।