কুবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের অন্যতম ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর নিজস্ব ককবরক ভাষায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অনুবাদ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী যুবরাজ দেববর্মা। তিনি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ডলুছড়া ত্রিপুরাপল্লীর বাসিন্দা।
তার সাথে কথা বলে জানা যায়, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থটি ককবরক ভাষায় নাম ‘পাইথাকয়া লাংমা’। টানা দুই বছর ধরে নিজ মাতৃভাষায় তিনি গ্রন্থটি অনুবাদ করেছেন। ভূমিকা, টীকা ইত্যাদিসহ ৩০৩ পৃষ্ঠার পুরোটাই অনুবাদ করেছেন যুবরাজ। শব্দ হয়েছে প্রায় এক লাখ। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি এই গ্রন্থের অনুবাদ শেষ করেন। বেসরকারি প্রকাশনা সংস্থা ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) এটি প্রকাশের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
যুবরাজ দেববর্মা তার এই অনুবাদের ব্যাপারে বলেন, ককবরক ভাষা অনেকটা বিলুপ্তির পথে। বিশাল সংখ্যক লোক এই ভাষায় কথা না বললেও দেশের দুই-তিন লাখ মানুষ এই ভাষায় কথা বলে। আমার অনুবাদ গ্রন্থটি ককবরক ভাষার দলিল হিসেবে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে জায়গা করে নিবে।
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করে আসছেন অধ্যাপক ড. জি এম মনিরুজ্জামান। তিনি বর্তমানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। তিনি যুবরাজের অনুবাদের ব্যাপারে বলেন, এটা নিঃসন্দেহে একটি আনন্দের বিষয়। শ্রেষ্ঠ বাঙালির জীবনীগ্রন্থ আরো একটি ভাষায় প্রকাশের মাধ্যমে আরো সহজে আদিবাসীরা এটি পাঠ করতে পারবে। যুবরাজকে ধন্যবাদ এমন একটি উদ্যোগ নেয়ার জন্য। আশা করি শীঘ্রই এটি প্রকাশ পাবে।
উল্লেখ্য, বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) থেকে প্রকাশিত হয় ২০১২ সালে। গত ১০ বছরে গ্রন্থটি প্রায় ২০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে