কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, মামলা ও কারাদন্ড দেওয়ার পরও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় বন্ধ হচ্ছে না পাহাড় কাটা। রাতের আধারে কেটে নেওয়া হচ্ছে পাহাড় ও টিলা ভুমি। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য।
গত বৃহস্পতিবার রাতের আঁধারে পাহাড় কাটার সংবাদ পেয়ে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের লতুয়ামুড়া এলাকায় মামুন মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে সাত দিনের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। বিশেষ এ আদালত পরিচালনা করেছেন প্রথম শ্রেণীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম সরওয়ার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইকরামুল হক নাহিদ এবং তৌহিদুল ইসলাম। তাদেরকে সহযোগিতা করেছেন জেলা পুলিশ ও বিজিবি।
কারাদন্ড প্রাপ্ত মো. মামুন মিয়া কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের লতুয়ামুড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাকে আজ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলার বায়েক ও গোপীনাথপুর ইউনিয়নে পাহাড় রয়েছে। উপজেলার মাদলা মৌজায় এক দাগেই পাহাড় রয়েছে দুইশ ৩৭ একর। এ নিয়ে দুই ইউনিয়নে পাহাড় রয়েছে তিনশ ৭৫ একর । স্থানীয়দের ধারণা ৫০ একরেরও বেশী পরিমান পাহাড় কেটে নেওয়া হয়েছে। এসকল ছোট ছোট পাহাড় বেশিরভাগই ব্যক্তি মালিকানাধীন। মালিকরা লোভে পড়ে এসকল পাহাড়ের মাটি প্রভাবশালীদের নিকট বিক্রি করে দেয়। প্রভাবশালী সেই চক্রটি পাহাড় কেটে ট্রাক্টর দিয়ে উচু মূল্যে বিভিন্ন জায়গায় মাটি বিক্রি করে। স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মাঝে মাঝে পাহাড় কাটার জন্য অভিযান পরিচালিত হয়, ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা হয়, মামলা হয় কিন্তু কিছুতেই থামছে না পাহাড় কাটা।
কসবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম সরওয়ার জানিয়েছেন, পাহাড় কাটার দায়ে বৃহস্পতিবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে মামুন মিয়া নামের একজনকে সাতদিনের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো, জহিরুল হক কবির বলেন, পাহাড়া কাটার দায়ে কারাদন্ড প্রাপ্ত মামুন মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।