মোহাম্মদ শাখাওয়াৎ হোসাইন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাণিজ্যিক এলাকা কুটি বাজারের পাইকারী মার্কেটে গত শুক্রবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৩৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।
স্থানীয় লোকজন ও দোকান মালিকগণ জানান, শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে মার্কেটের একটি দোকানে হঠাৎ করে আগুন ধরে যায়। মুহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একে একে ৩৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
খবর পেয়ে কসবার কুটি চৌমুহনী ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট, আখাউড়া ফায়ার স্টেশনের একটি ইউনিট এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার স্টেশন থেকে একটি ইউনিট প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
ক্ষতিগ্রস্ত জনতা অয়েল মেইলের মালিক বাবু মুন্সী বলেন, মার্কেটটির বেশীর ভাগ দোকানই পাইকারী দোকানদার। প্রত্যেকের দোকানে প্রচুর পরিমানে মালামাল ছিল। তার মেইলের একটি মেশিনের দাম দুই লক্ষাধিক টাকা। আগুনে আমার ৭/৮টি মেশিন পুড়ে গেছে। দোকানে প্রচুর টাকার মালামাল মজুত ছিল। আগুনে তার প্রায় ৩৫ লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত হলুদ, মরিচ, পেয়াজ ও আদার পাইকারী ব্যবসায়ী মুছা মিয়া বলেন, আগুনে আমার প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার দাবি, আগুনে পুড়ে মার্কেটের ৩৫টি দোকানের প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কসবার কুটি চৌমহনী ফায়ার স্টেশনের ইউনিট লিডার আবদুল্লাহ খালিদ বলেন, ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট রাত সাড়ে ১০টা থেকে শুরু করে তিনটা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সাকিট, বিড়ি সিগারেটের আগুন অথবা কয়েলের আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। প্রকৃত কারণ খুঁজতে তদন্ত করা হচ্ছে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। অনেক দোকান পুড়ে গেছে। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ণয় করতে সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে আহবায়ক এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি ঘটন করা হয়েছে। তাদেরকে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।