কসবার জননন্দিত চেয়ারম্যান হামিদুল হক মাস্টারের ইন্তেকাল

মোহাম্মদ শাখাওয়াৎ হোসাইন, কসবা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার আকছিনা গ্রামের কৃতি সন্তান, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও অবিভক্ত কসবা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক জননন্দিত চেয়ারম্যান মো. হামিদুল হক মাস্টার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বুধবার (১৮ জুন) ভোর ৫টায় কসবা পৌর শহরের শীতলপাড়া নিজ বাসভবনে তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

হামিদুল হক মাস্টার স্ত্রী, ছয় ছেলে, চার মেয়ে ও নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অবদান ছিল অনন্য। শিক্ষকতা করেছেন খারেরা মোহাম্মদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও পানিয়ারুপ সিরাজুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ে। পরে নিজ হাতে প্রতিষ্ঠা করেন একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে—কসবা তফজ্জল আলী কলেজ, জয়নগর লিয়াকত আলী উচ্চ বিদ্যালয়, পানিয়ারুপ সিরাজুল হক উচ্চ বিদ্যালয়, কসবা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, কসবা পৌর উচ্চ বিদ্যালয়, আকছিনা-কুল্লাবাড়ি দাখিল মাদ্রাসা এবং শীতলপাড়া মসজিদ।

শিক্ষার পাশাপাশি তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবেও দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। অবিভক্ত কসবা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘদিন সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। জনপ্রিয় এই নেতা সব শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে ‘হামিদুল হক মাস্টার সাহেব’ নামে পরিচিত ছিলেন।

বুধবার বাদ আছর কসবা তফজ্জল আলী (টি.আলী) কলেজ মাঠে মরহুমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন। জানাজা পড়ান মরহুমের ২য় ছেলে কসবার সুপরিচিত রাজনৈতিক নেতা মো. মনিরুল হক। পরে তাঁকে নিজ গ্রাম আকছিনার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

মরহুমের মৃত্যুতে কসবায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কসবা উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও কসবা প্রেসক্লাব, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

Post Under