কসবায় গরু বাজারের ইজারাদারের মাথায় হাত-গরু খামারীরা বিপাকে

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ভয়াবহ সংক্রমণের মুখে দেশব্যাপী লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউপির নয়নপুর ও কুটি গরু বাজারে কুরবানির পশুর হাট বসাতে না পেরে ইজারদাররা লাখ লাখ টাকার লোকসান গুণতে হচ্ছে অপর দিকে গরু খামারীরা পড়েছে বিপাকে । বায়েক ইউপির নয়নপুর গরুর বাজার লকডাউনে গরুর হাট বসবে কিনা এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনও নির্দেশনা না থাকায় প্রশাসনও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। নয়নপুর ইজারাদার আবুল খায়ের বলেন, গরু বাজার ইজারা বাবদ সরকারকে ৪৮লাখ টাকা দিয়েও লকডাউনের কারণে গরুর হাট করতে পারছিনা।তবে কোরবানিকে সামনে রেখে সরকার যদি ২/৩টি বাজার করতে দেয় তা হলে কিছুটা রক্ষা পেতে পারে বলে জানান। বায়েক ইউপি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী আজমুল বলেন, মুসলাসমানদের বড় উৎসব কোরবানি ঈদ। সরকার এই ঈদকে সামনে রেখে কোরবানি গরু ক্রয় করার বিবেচনা করে ১৪জুলাইর পর আশা করি দিলে নয়নপুর গরুর বাজারের ইজারাদার কিছুটা হলে রক্ষা পেতে পারেন। কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কের পাশে কুটি চৌমুহনী অস্থায়ী বিশাল গরু বাজারটি স্থায়ী ইজারা না নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল প্রতি রোববার অস্থায়ী ইজারা এনে সরকারাকে মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উল আলম বলেন, করোনাকালে অনলাইনে গরু ক্রয় বিক্রয় করার জন্য সরকারের নীতিমালা রয়েছে। এই বিষয়টি উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে কুটি চৌমুহনী গরু বাজারটি স্থায়ী ইজারার ব্যবস্থা থাকলেও সরকার বিশাল রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হত না। স্থায়ী করার জন্য দৌড়ঝাপ দিচ্ছে বলে রএকাধিক সূত্রটি জানান। এছাড়াও লকডাউন বাস্তবায়নে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

 

Post Under