কসবায় জেলা পরিষদ সদস্য হলেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এম এ আজিজ

কসবা (ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবায় জেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত। ৭নং ওয়ার্ডে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল আজিজ কে সদস্য পদে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিরতিহীনভাবে দুপুর দুইটা পর্যন্ত ইভিএম এ ভোট গ্রহণ করা হয়। সিসি ক্যামেরার আওতায় ভোট গ্রহন চলে। সকাল থেকেই ভোটারা লাইনে দাড়িয়ে একজন একজন করে ভোট কক্ষে গিয়ে ভোট দিতে থাকেন।
এদিকে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ত্রæটির কারনে দুই ভোটারের ফিঙ্গারপ্রিন্ট না মিলায় সোয়া এক ঘন্টা দেরিতে ভোট গণনা শুরু হয়। এতে করে ভোটারের মাঝে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসার জানান, কসবার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান ভূইয়া ও বিনাউটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. জুয়েল মিয়া ভোট দিতে গেলে ইভিএম মেশিনে ফিঙ্গার না আসায় বেলা ২টা অতিক্রম হয়ে যায়। বার বার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে বিষয়টি গড়ায় নির্বাচন কমিশনে। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নতুন একটি ইভিএম মেশিন ও ডিভাইস এনে তাদের ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোট নেওয়া শেষ হলে বেলা সোয়া তিনটায় গিয়ে ভোট গণনা শুরু হয়।
কসবা ৭নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে মোহাম্মদ আবদুল আজিজ তালা প্রতীকে ৯১ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি মো. জহিরুল হক খান হাতি প্রতীকে ৫৩ ভোট পেয়েছেন।
সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে রুমানুল ফেরদৌসী ফুটবল প্রতীকে পেয়েছে ১২০ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি মারহুমা বেগম মাইক প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ ভোট। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মো. আল মামুন সরকার আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৯৮ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি মো. শফিকুল আলম মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬ ভোট।
প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলায় জেলা পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১৪৬জন। কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মোস্তাক আহাম্মদ তিনি তাঁর স্ত্রী হত্যা মামলার আসামী হওয়ায় ভোট দিতে আসেননি। খাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য আবদুর রউফ মারা গেছেন। এ কারনে ১৪৪জন ভোট প্রদান করেছেন।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম বলেন, ইভিএম ত্রæটি দেখা দেওয়ায় দুইজন ভোটারের ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলছিল না। এ কারনে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অন্য একটি ইভিএম মেশিন এনে দুইজনের ভোট নেওয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Post Under