কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কসবা উপজেলায় ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সামাজিক বন্ধনকে সুসংহত করার লক্ষ্যে সকল জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সকল কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, ইমাম, পুরোহিত ও শিক্ষকসহ সকল জনগণের সমন্বয়ে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড. রাশেদুল কাওসার ভ‚ইয়া, কসবা পৌরসভার মেয়র এম জি হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী।
সভায় অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ রুহুল আমিন ভ‚ইয়া, সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) মো. কামরুল ইসলাম, কুটি কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মুখলেছুর রহমান, খাড়েরা ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহাম্মদ খান, কুটি ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান স্বপন, কসবা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এম এ আজিজ, কসবা কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলান মো. আবদুল হান্নান, কসবা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী দিলীপ কুমার রায় ও কুটি জগন্নাথ দেবমন্দির এর সভাপতি বাবু কৃষ্ণপদ সাহা।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান বলেন, ধর্ম মানলেই দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকবে। কেননা ইসলামে অপর ধর্মের মানুষের জান-মালের হেফাজতের কথা বলা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, বিশে^র দরবারে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে একটি চক্র বাংলাদেশকে শ্রীলংকা বানাতে চান। বাংলাদেশ কখনো শ্রীলংকা হবেনা। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা শ্রীলংকার চেয়ে যোজন যোজন দূরত্বে এগিয়ে আছে। রিজার্ভ কেন কমে গেছে এ নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, কোভিট ও অন্যান্য কারনে সরকারের ব্যয় বৃদ্ধির জন্য রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এ দিয়ে বাংলাদেশ ৫ মাসের আমদানী ব্যয় মিটাতে পারবে। তিনি গুজব ও চক্রান্ত সৃষ্টিকারীদের সাবধান করে দেন।