এমদাদুল হক সোহাগ:
সুরক্ষিত শ্রবণ, সুরক্ষিত জীবন এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস পালিত হয়েছে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজনে সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সামনে মানববন্ধন ও শোভাযাত্রা শেষে সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শাহ মো: আলগীর খানের কোরআন তেলোয়াত ও সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারীর গীতা পাঠের মাধ্যমে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য ও শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের উপায় এবং সম্ভাব্য করনীয় নিয়ে বিস্তারিত প্রেজেন্টশন করেন কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব।
শব্দদূষণের ভয়াবহতা সম্পর্কে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব জানান, মানুষ সাধারণত ১৫ থেকে ২০ কিলোহার্টস সীমার মধ্যে শব্দ শুনতে পায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ৬০ ডেসিবলের উর্ধ্বে শব্দ মানুষকে বধির করে দেয় এবং ১০০ ডেসিবলের উর্ধ্বে শব্দ পুরোপুরি বধির বানিয়ে দেয়। আমাদের রাজধানী ঢাকার ব্যস্ত সড়কে শব্দদূষণের মাত্রা ৮০ থেকে ৯০ ডেসিবল। শব্দ দূষণের কারনে শিশু, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী নারীরা বেশী ঝুঁকির মধ্যে অবস্থান করে। শব্দদূষনের স্থান সমূহে অধিক সময় ধরে অবস্থান করলে মারাত্মক মানসিক ও শারীরিকস্বাস্থ্য ঝুঁকি যেমন হুদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, মাথা ধরা, বধির হওয়া, আতঙ্কগ্রস্থতা, অনিদ্রা, বেড়ে যায়। তাছাড়া গর্ভস্থ বাচ্চা নষ্ট, বধির হওয়া সহ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর জন্ম হতে পারে।
বক্তব্য রাখেন কুমিল্লার সিনিয়র সাংবাদিক আবুল হাসানাত বাবুল, বিশিষ্ট নাগরিক বদরুল হুদা জেনু, এডভোকেট মো: গোলাম ফারুক, মানবাধিকার কর্মী আলী আকবর মাসুম, জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী, আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তারিকুর রহমান জুয়েল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস। সভাপতির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক পঙ্কজ বড়ুয়া। বক্তারা বলেন, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সবার আগে প্রয়োজন জনসচেতনতা। অনুষ্ঠানে কুমিল্লার সুশীল, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক, পরিবহন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।