স্বাধীনতা যুদ্ধের পর এই প্রথম সরকারি কিংবা দলীয়ভাবে ১৫ আগষ্টের শোক পালন হয়নি কুমিল্লায়। এদিকে শোক পালনের নামে নৈরাজ্য না হয় সে পরিকল্পনায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পাহারারত ছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
খবর নিয়ে জানা যায়, গেলো ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সারা দেশের ন্যায় কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ছাড়া কোথাও নেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
১৫ অগাস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় কুমিল্লা নগরীর রামঘাট এলাকায় মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে ঘুরে দেখা যায়, সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা সড়কে অবস্থান করছেন। এছাড়াও নগরীর নজরুল এভিনিউস্থ মর্ডাণ স্কুলের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় দেখা যায় নগরীর কান্দিরপাড়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান করছেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু। তিনি জানান, শোকের নামে যেন কেউ নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সে লক্ষ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা কান্দিরপাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এছাড়াও নগরীর ২৭ ওয়ার্ডেও অবস্থান করছেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দিনভর নেতাকর্মীরা টাউনহলে অবস্থান করবে বলে জানান বিএনপির এই নেতা।
এদিকে নগর উদ্যানের পুড়ে যাওয়া বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সামনে মহানগর বিএনপির আহবায়ক উৎবাতুল বারি আবুকে দেখা যায় নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান করতে।
বিএনপি নেতা উৎবাতুল বারি জানান, তিনি ও তার দলের নেতাকর্মীরা নগর উদ্যানের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়াও নগরীর যেসব জায়গায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল রয়েছে সেখানেও নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছে। তাদের অবস্থান কর্মসূচীর কারন জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা জানান, অনেকেই লুকিয়ে এসে মোমবাতি প্রজ্জলন কিংবা ফুলের ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে নানান কথা রটাবে। সে জন্য তাদেরকে এই সুযোগ দেয়া হয় নি। তবে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশ ছিলো অতি উৎসাহী কেউ ফুল দিতে আসলেও তাঁর সাথে যেন দূর্ব্যবহার করা না হয়। তাদেরকে বুঝিয়ে শুনিয়ে যেন বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এদিকে দীর্ঘ বছর পর ১৫ আগষ্টের ছুটি বাদ করার সরকারি প্রজ্ঞাপণ জারি হওয়ায় কুমিল্লা নগরীসহ জেলার সবকটি সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক কাজকর্ম চলছে। সকাল থেকে জেলা প্রশাসক, আদালতপাড়ায় ব্যস্ততা ছিলো চোখে পড়ার মত।