কুমিল্লায় ভুলে যাওয়া রোগের সচেতনতা নিয়ে সেমিনার
শুরুতে রোগ নির্ণয় করতে পারলে রোগের ভয়াবহতা কমানো সম্ভব
এমদাদুল হক সোহাগ:
কুমিল্লায় ভুলে যাওয়া রোগ বা ডিমেনশিয়া রোগের কারন, ধরন, চিকিৎসা ও সচেতনতা নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) কুমিল্লা জেলা শাখার আয়োজনে এবং ইসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সহযোগিতায় মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লা নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ওই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মূখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মালিহা হাকিম।
অধ্যাপক ডা. মালিহা হাকিম ডিমেনশিয়া রোগের আদ্যোপান্ত উপস্থাপন করেন। এই রোগে বেশী আক্রান্ত হন ষাটোর্ধ ব্যক্তিরা। নারী পুরুষ উভয়েই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এ ক্ষেত্রে এসব রোগীদের অবহেলা বা হেয় না করে তাদের যত্ন ও চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন শুরুতেই রোগটি শনাক্ত করতে পারলে এবং চিকিৎসা শুরু হলে রোগীরা উন্নতি করতে পারেন। এই রোগের ভয়াবহতা সম্পর্কেও তিনি অবহিত করেন। সেমিনারে অংশ নেয়া চিকিৎসক ও সচেতন নাগরিকদের ধারনা স্পষ্ট করতে তিনি বিভিন্ন ভিডিও ডুকুমেন্টারি প্রদর্শন করেন।
সেমিনারের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএমএ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক ডা. আতাউর রহমান জসীম। ডা. তৌফিকুন্নবী খানের সঞ্চালনায় বিশেষজ্ঞ মতামত তুলে ধরেন ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কর্ণেল ডা. গোলাম কাওনাইন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নাজমুল হাসান চৌধুরী নাসিম, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. মাহমুদুল ইসলাম।
বিএমএ কুমিল্লার সায়েন্টিফিক কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কাজী আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো: মোস্তফা কামাল আজাদ, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আকতার, স্বাচিপ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোরশেদুল আলম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিএমএ কুমিল্লার সহসভাপতি ডা. মো: মজিবুর রহমান, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আশরাফ উদ্দিন আহমেদ।
সেমিনারে সাত থেকে আট শতাধিক চিকিৎসক, মেডিকেল শিক্ষার্থী, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।