এমদাদুল হক সোহাগ:
কুমিল্লায় ভুল প্রশ্নে এনটিআরসিএ’র নিবন্ধন পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। কুমিল্লা নগরীর কোটবাড়ী এলাকায় অবস্থিত (সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন) কুমিল্লা টিচার্স ট্রেইনিং কলেজ কেন্দ্রে ভুল প্রশ্ন পত্রে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর নিবন্ধন পরীক্ষা ২০২৩ নেওয়ায় বিরম্বনার শিকার হয়েছেন কয়েক শত শিক্ষক নিবন্ধন প্রত্যাশি পরীক্ষার্থী। ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীদের কয়েকজন জানান, বেলা সাড়ে নয়টায় অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় সাধারণ স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষায় প্রশ্ন বিতরন করা হয় কারিগরি/ এবতেদায়ি বিভাগের প্রশ্ন।
পরীক্ষার্থীরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় হলে দায়িত্ব প্রাপ্ত ইনভিজিলেটরদের (শিক্ষকদের) দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তারা বিলিকৃত ভুল প্রশ্ন পত্রে পরীক্ষা চালিয়ে যান। এতে বিষয় ভিত্তিক পার্থক্য থাকার কারনে বিভ্রান্তিতে পড়ে যায় পরীক্ষার্থীগন। ভুল প্রশ্নে পরীক্ষায় দেয়ায় এসকল চাকরীপ্রার্থীর জীবনে কালো অধ্যায় নেমে এসছে।
পরীক্ষার শেষে ভুক্তভোগীরা কুমিল্লা টিচার্স ট্রেইনিং কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে উপস্থিত হয়ে বিষয়টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করতে থাকেন। ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী সুজন জানান প্রথমে হল কর্তৃপক্ষ ভুল প্রশ্ন দেবার বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরীক্ষার শেষে দেখা যায় সাধারন স্কুল পর্যায়ের প্রশ্নের জায়গায় কারিগরি ইবতেদায়ি পর্যায়ের প্রশ্ন অদল বদল হয়েছে। এতে করে ঐ কেন্দ্রের ১০১, ৩১১, ৩১২ ও ৩১৩ তম কক্ষের পরীক্ষার্থীগন ভোগান্তির শিকার হন। তানিয়া আক্তার নামের একজন পরীক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেন, বারবার বলার পরেও হল গার্ডে থাকা শিক্ষকগণ পরীক্ষার্থীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন এবং ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। তিনি আরো লিখেন, গার্ডে থাকা শিক্ষকগণ চরম গাড়ত্যাড়া ছিলেন। পরীক্ষা ছিল স্কুল পর্যায়-১ যার বিষয় কোড ৩০০ অথচ প্রশ্ন বিলিয়েছে স্কুল পর্যায়-২ যার বিষয় কোড-২০০। অথচ একই কেন্দ্রে পাশের রুমে সঠিক প্রশ্নে পরীক্ষা হয়েছে। যাদের কারনে আমরা ভূল প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে বাধ্য হয়েছি তাদের দায়িত্ব কে নেবে। অনেকেরই চাকরি বয়স শেষ হয়েগেছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা টিচার্স ট্রেইনিং কলেজের অধ্যক্ষ রাজিয়া সুলতানার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান বিষয়টি দেখার জন্য তিনি ম্যাজিস্ট্রেট কে জানিয়েছেন। তিনি উপস্থিত হয়েছের এবং দায়ীদের বিরুেদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। ঘটনাস্থলে কুমিল্লা সদর দক্ষিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া খানম উপস্থিত হয়ে বলেন, ” বিষয়টি এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে এবং দায়ি ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুপারিশ করা হবে।” এ সময় তিনি পরীক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহবান করেন।