ঢাকার গুলশানের ফ্ল্যাট থেকে কলেজ ছাত্রীর মোসারাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড উল্লেখ করে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে গ্রেফতার এবং তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে কুমিল্লায় মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধা সংসদ ও কুমিল্লা মহানগর আইনজীবী কল্যাণ পরিষদ।
রবিবার (২ মে) পৃথক স্থানে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও কুমিল্লা মহানগর আইনজীবী কল্যাণ পরিষদ এই কর্মসূচি পালন করেন।
কুমিল্লা জজ কোর্ট প্রাঙ্গনে মহানগর আইনজীবী কল্যাণ পরিষদের মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক পিপি মুস্তাফিজুর রহমান লিটন। অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান, অ্যাডভোকেট শহীদুল হক স্বপন ও অ্যাডভোকেট মাসুদ সালাউদ্দিনসহ অনেকে। বক্তারা বলেন, এটি হত্যাকান্ড হলেও মামলা নেওয়া হয়েছে দ-বিধির ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে। অথচ মামলা নেওয়ার কথা ছিল নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে। ওই কলেজছাত্রীকে নির্যাতনের পরে হত্যা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আনভীরের মা এবং আরও এক নারীর নাম উঠে এসেছে। অথচ এই মামলায় আসামি করা হয়েছে মাত্র একজনকে। অন্যদিকে মনিয়া হত্যা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য গুম ও খুনের হুমকি প্রদান করা হচ্ছে তার বোনকে। আসামীদের পক্ষ থেকে একাধিক মোবাইল ফোনে হুমকি পেয়ে মনিয়ার বোন নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছেন। তাই হুমকি দাতাসহ মনিয়া হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি তারা। এ সময় তারা বিনা খরচে মৃত কলেজছাত্রীর পরিবারকে আইনি সহায়তা দেবেন বলে জানান।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে কুমিল্লার ছাতিপট্টি এলাকায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কুমিল্লা শাখা এই কর্মসূচি পালন করে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সফিউল আহম্মেদ বাবুল বলেন, ‘এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। যথাযথ তদন্ত করে দোষী বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। মানববন্ধন কর্মসূচিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতাকর্মীরাও সংহতি জানায়।
উল্লেখ্য যে, গত ১৯ এপ্রিল ঢাকার গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে কুমিল্লা নগরীর তরুণী কলেজ ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গুলশান থানায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা করেন মুনিয়ার বোন নুসরাত।