নিজস্ব প্রতিবেদক ,কুমিল্লা
২০০৬ সালের মামলায় ১৭বছর পর কুমিল্লা সদরের চম্পকনগর সাতরার রানা হত্যা মামলায় ৭জনের ফাসিঁ ৫জনের যাবজ্জীবন সহ ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ডের রায় দেন আদালত।এ মামলায় ১৬জন আসামীর মধ্যে ৪জন বেকসুর খালাস পান। ১২জনআসামির দন্ডাদেশের মধ্যে ৭জনকে গলায় ফাসিঁ দিয়ে ঝুলিয়ে মৃত্যু দন্ড র্কাযকর করার নির্দেশ আদালতের।
রোববার (১৮জুন) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক মো: জাহাঙ্গীর হোসেনর এ রায় দেন। এ মামলায় আদালতে ৯জন আসামি এজলাসে ছিলেন। দন্ডপ্রাপ্ত ৬জন আসামী পলাতক রয়েছেন।
ফাসিঁর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জুয়েল ,শুভ,কাজল ,শিপন,মোর্শেদ,আলাউদ্দিন ও রিপনসহ ৭জন ও যাবজ্জীবন প্রাপ্ত ৫জন হলো-বাদল,ইকবাল, জহিরুল ইসলাম,আনোয়ার ও সোহেল।
ফাসিঁর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী জুয়েল ,শুভ,কাজল ,শিপন,মোর্শেদসহ ৫জনই পলাতক ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বাদল ও ইকবাল সহ ৬জন পলাতক রয়েছে।
কুমিল্লার আদালতের এপিপি এড.রফিকুল ইসলাম মামলার বিবরণে জানায়- ২০০৬ সালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পহেলা মে রাতে হত্যা করা হয় চম্পকনগর এলাকার স্যানিটারি মিস্ত্রি রানাকে। এই ঘটনায় রানার বাবা জাহাঙ্গির খান ছয়জনকে আসামি করে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তী তদন্তে আরো দশ জনকে আসামি করে মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করে তদন্ত কর্মকর্তা। দীর্ঘ ১৮ বছর মামলার চলমান তদন্তে আসামিদের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি ও ১৬জন সাক্ষীর সাক্ষ্য আমলে নিয়ে এ রায় দেন বিজ্ঞ বিচারক। রায়ে বিজ্ঞ বিচার সাতজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, ৫পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও ত্রিশ হাজার টাকা করে প্রতিজনকে অর্থদণ্ড অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদন্ড এবং চারজনকে বেকসুর খালাস দেন। রায় প্রদানের সময় মোট নয়জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে তিনজন মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত হাজির, তিনজন যাবজ্জীবন দন্ডাদেশ প্রাপ্ত হাজির এবং বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত তিনজন হাজির ছিলেন। মৃত্যুদণ্ড ৪ ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ২ জনসহ মোট ছয় আসামি পলাতক রয়েছে।
রায় শেষে মামলার বাদী নিহত রানার বাবা জাহাঙ্গীর খান দীর্ঘ ১৮ বছর পর ছেলে হত্যার বিচারের রায় পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তবে আসামি বিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, এই রায় এর বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করবে বলে জানান।