কুমিল্লায় হোটেল নূরজাহান ও ছন্দুকে ১লক্ষ ২০ টাকা জরিমানা
অতিরিক্ত টাকা আদায় করায় মুন হসপিটালকে ৪০ হাজার জরিমানা
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে সোমবার দিনব্যাপী ঢাকা–চট্টগ্রাম হাইওয়েরকুমিল্লা অংশের বিভিন্ন হাইওয়ে হোটেলে তদারকি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় বাসি খাবার বিক্রয়ের উদ্দেশ্যেফ্রিজে সংরক্ষণ করা, অননুমোদিত উপাদান দিয়ে খাদ্য প্রস্তুত ও অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাবার সংরক্ষণ করায় পদুয়ার বাজার এলাকার হোটেল নূরজাহানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর আওতায় ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় ৫৭০ পিচ বাসি টিকা কাবাব ও পোকাযুক্ত ১২ লিটার রসমালাইয়ের ঝোল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। এছাড়াও ফ্রিজে একইসাথে কাঁচা মাছ মাংসের সাথে মসলা ও রান্না করা খাবার সংরক্ষণ করা ও অনুমোদনহীন পণ্য বিক্রি করায় ছন্দু হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ৮ কেজি বাসি বাটা মসলা, ১ কৌটা হাইডোজ ও ১৪ পিচঅনুমোদনহীন রেডবুল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। আজ ভোক্তা অধিকার বিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মোট দুইপ্রতিষ্ঠানকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তদারকিকৃত হোটেলগুলোতে নির্ধারিত মূল্য থেকে অতিরিক্ত মূল্য আদায় না করতে এবং সেবার মূল্য তালিকা একাধিক দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বেলা ১১ টা থেকে ৩টাপর্যন্ত সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর একে আজাদ, উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মনজুরুল আলম ভুইয়া এবং জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতাকরেন। জনস্বার্থে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও আজ রাকিবুল ইসলাম নামের একজন ভোক্তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে নগরীর ঝাউতলা এলাকার মুন হসপিটালকে সেবার মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করার অভিযোগে ৪০হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং অভিযোগকারী জনাব রাকিবুল ইসলামকে প্রণোদনা হিসেবে ১০ হাজার টাকা প্রদান করাহয়।