নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লায় ৯ শত মসজিদের সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক ও ইমামদের নিয়ে মতবিনিময় করছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি। গতকাল শনিবার (১১ নবেম্বর) নগরীর শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে সমাজে সর্বাধিক মর্যদার ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কুমিল্লা – ৬ নির্বাচনী এলাকা ( কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ও সদর উপজেলা) প্রায় সকল মসজিদের সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক ও ইমামগণ, বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, কুমিল্লার বিশিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ ও দলীয় নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাতের সভাপতিত্বে ওই মতবিনিময় সভার বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু, মসজিদের সভাপতিদের পক্ষে ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবদুর রশিদ, ইমামদের পক্ষে মাওলানা কাজী মো. আবদুর সালেহ, মাওলানা সামাছুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা মিজানুর রহমান এবং দোয়া পরিচালনা করেন কাশেমুল উলুম মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা আবদুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. সৈয়দ নূরুর রহমান ও আদর্শ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড. মো আমিনুল ইসলাম টুটুল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি বলেন, এক পিয়ন, পান দোকানদার থেকে শুরু করে সকল পেশার মানুষ রাতে বাসায় গিয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঘুমায় কিন্তু ব্যতিক্রম একজন ইমাম মোয়াজ্জেমের জীবন। তারা সমাজের সবোর্চ মর্যাদার হয়েও যেন ভিন্ন গ্রহের মানুষ। পরিবার পরিজন নিয়ে থাকতে পারেননা। এই বিষয়টি আমাকে ব্যাথিত করেছে। তাই যেসব মসজিদের পাশে জায়গা রয়েছে সেখানে ইমাম মোয়াজ্জেমদের জন্য বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রত্যেক মসজিদে ইমামের বাসস্থান বানাতে আমি ৩ লাখ টাকা করে অনুদান দিয়েছি আর স্থানীয়ভাবে ২ লাখ টাকা ব্যবস্থা করে ৫ লাখ টাকার বাড়ি বানানো হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৪০ টি মসজিদে ইমাম সাহেবের বাসস্থান নির্মাণ করে দিয়েছি। ইমাম সাহেবদের পদাধিকার বলে মসজিদ কমিটির সদস্য করতে নির্দেশ দিয়েছি। আমার নির্বাচনী এলাকায় এমন কোন মসজিদ নেই যেখানে বিগত ১৫ বছরে কয়েক দফা অনুদান দেইনি।
্হাজী বাহার এমপি আরও বলেন, একসময় মক্তবে ইসলামী শিক্ষার প্রাথমিক চবক দেওয়া হতো। মাঝপথে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমাদের প্রিয় নেত্রী আবারও মক্তব ভিত্তিক শিক্ষা চালু করেছেন। তিনি ৫৬০ টি মডেল মসজিদ তৈরি করেছেন। বিশ্বের কোন দেশেই একই মডেলের এত মসজিদ নেই। শেখ হাসিনার সরকারই কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েছেন। করোনাকালে ইমামদের তিনি প্রণোদনা দিয়েছেন। আল্লাহর বিশেষ মেহেরবানি রয়েছে শেখ হাসিনার উপর।সবাই মিলে দেশ এগিয়ে নিতে হবে। শেখ হাসিনার হাতেই দেশ রাখতে হবে।
ইসলামের সেবায় জাতির পিতার প্রসঙ্গ টেনে হাজী বাহার এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ইসলামের প্রচার ও প্রসারে ইসলামী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গিতে বিশ্ব ইশতেমার জন্য জায়গা দিয়েছিলেনন। ইজরায়েল ফিলিস্তিন ইস্যুতে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সাথে সদ্য স্বাধীন দেশের পোড়া মাটির উপর দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিন কে সমর্থন দিয়েছিলেন্। সেদিন আমাদের আজকের মত সামর্থ্য ছিল না, তবুও বঙ্গবন্ধু ফিলিস্তিনীদের জন্য ১ লাখ পাউন্ড চা পাতা পাঠিয়েছিলেন।