কুমিল্লার আ লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত আহত ১০

ব্যবসায়িক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তি হলেন চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের ছোট ভাই ও নলডাঙা গ্রামের মো. আব্বাসের ছেলে নিজাম সরকার (৪০)। তিনি চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।

আহতরা হলেন- স্থানীয় টিটু (৩০), রমজান (৩৫), ইব্রাহীম (২৮), শাকিল (২২), খালেদ হাসান (১৯), দেলোয়ার (৩২), আনিছ সরকার (২৫), সুমন (২৪), হানিফ (৪৫) ও ওয়াসিম (৩৫)।

জানা গেছে, দুই দিন ধরেই ওই এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছিল। এতে অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। গত দুই দিনের জের ধরে সোমবার সকালে স্থানীয় সানাউল্লাহ গ্রুপ ও কাইয়ুম গ্রুপ আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুই গ্রুপের লোকেরাই টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে কমপক্ষে অন্তত ১০ জন আহত ও একজন নিহত হন।

স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে, সানাউল্লাহ গ্রুপ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির সমর্থিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একটি অংশ। অপর দিকে জেলা পরিষদ সদস্য কাইয়ুম হোসেনের নেতৃত্বে আছে আওয়ামী লীগের আরেকটি অংশ। যা কাইয়ুম গ্রুপ নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত।

মেঘনা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুই দিন ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলছিল। গতকাল একটা মামলা করেছি। আমাদের গ্রেফতার তৎপরতা চলছিল। আজ সকালে আবার সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হয়েছেন। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Post Under