কুমিল্লায় সেই পুত্রবধূই হত্যা করে চিকিৎসক দম্পতিকে

এমদাদুল হক সোহাগ:
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের সুবর্নপুরে আলোচিত চিকিৎসক দম্পতি হত্যার ঘটনায় রহস্য বের করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। শ্বশুর শাশুড়িকে হত্যার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ডাকাতির নাটক সাজিয়েছিল চিকিৎসক দম্পতির একমাত্র ছেলের বউ।

পুলিশ জানায়, পল্লী চিকিৎসক সৈয়দ বিল্লাল হোসেন(৭৫) এবং তার স্ত্রী সফুরা খাতুনকে (৫৫) গলায় উড়না প্যাচিয়ে ও কম্বলচাপায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তাদের ছেলের বউ শিউলী (২৫)। লোমহর্ষক ওই হত্যাকান্ডে পুত্রবধূ নাজমুন নাহার চৌধূরী শিউলী এবং শিউলীর খালাতো ভাই জহিরুল ইসলাম ওরফে সানী ও তুহিন নামের আরেক যুবক অংশগ্রহণ করেন।

ঘটনার বিবরণে পুলিশ জানায়, নিহত চিকিৎসক দম্পতির ছেলে সৈয়দ আমান উল্লাহ প্রবাসে থাকেন। সুবর্নপুরের ওই বাড়িতে শ্বশুর শাশুড়ির সাথে বসবাস করতেন পুত্রবধূ শিউলী। পারিবারিক বিভিন্ন কারনেই তাদের সাথে শিউলীর কলহ চলতে ছিলো। সেই ক্ষোভ থেকেই নিজ শ্বশুর শাশুড়িকে হত্যার পরিকল্পনা করে শিউলী।

গত ০৫ সেপ্টেম্বর রাতে পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক শিউলী তার খালাতো ভাই সানী ও সানীর বন্ধু তুহিনকে কৌশলে ঘরে ঢুকিয়ে ফেলে। এসময় শুরুতে শাশুড়িকে পিছন থেকে গলায় উড়না প্যাচিয়ে ও হাত পা বেধে ফেলে সানী ও তুহিন। পরে নাকে মুখে কম্বল দিয়ে শ্বাসরোধ করে সফুরা খাতুনকে হত্যা করা হয়। কিছুক্ষণ পর শ্বশুর সৈয়দ বিল্লাল হোসেন ঘরে প্রবেশ করলে একই কায়দায় তাকেও হত্যা করেন তারা। পরবর্তীতে ডাকাতির আলামত ও নাটক সাজান তারা।

ঘটনার শুরুতেই জেলা পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেন। মঙ্গলবার সকালে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। এসময় সাংবাদিকদের সামনে আসামীদের হাজির করা হয়। প্রধান আসামী নাজমুন নাহার চৌধূরী শিউলী। তার বাবার নাম মো: মোর্শেদ চৌধূরী ও মায়ের নাম রেহেনা আক্তার, তার বাবার গ্রামের বাড়ি আদর্শ সদর উপজেলার কালিকাপুরে। অন্য আসমী মো: জহিরুল ইসলাম সানী। তার বাবার নাম আবদুর রহিম মজুমদার। বর্তমান ঠিকানা দক্ষিণ চর্থা চৌমুহনী, স্থানী ঠিকানা সদর দক্ষিণ উপজেলার কোদালিয়া গ্রামে। অপর আসামী মো: মেহেদী হাসান তুহিনের বাড়ি লালমাই উপজেলার দক্ষিণ জয়কামতা, তার পিতার নাম মো: শাহাবুদ্দিন।

Post Under