এমদাদুল হক সোহাগ
কুমিল্লা কাস্টমস এক্সাইজ ও ব্যাট কমিশনারেটের প্রিভেন্টিভ টিমের অভিযানে নকল ব্যান্ডরোলের সিগারেট ও বিড়ি আটক করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৫৩৮ টাকা এবং ফাঁকিকৃত রাজস্বের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮২ টাকা।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার ৩০ জুলাই ভোড়ে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মোহাম্মদপুর নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে দেশ গোল্ড ব্র্যান্ডের ১১ হাজার ৪২০ শলাকা নকল ব্যান্ডরোল বিশিষ্ট সিগারেট উদ্ধার করা হয়েছে যার বাজার মূল্য ৪৪,৫৩৮/- টাকা এবং ফাঁকিকৃত রাজস্বের পরিমাণ ৩১,৬২২ টাকা।
সকাল ৮টায় কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় দেশ গোল্ড ব্র্যান্ডের ১ লাখ ২০ হাজার শলাকা সিগারেট যার বাজার মূল্য ৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকা এবং ফাঁকিকৃত রাজস্বের পরিমাণ ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৯৬০ টাকা ।
একই সাথে কুমিল্লা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের আওতাধীন ফেনী বিভাগ কর্তৃক আবারো নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত ১ লাখ ৮ হাজার শলাকা বাংলা বিড়ি উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য ৭৭,০০০ টাকা এবং ফাঁকিকৃত রাজস্বের পরিমাণ ৩৫,০০০ টাকা।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী পরিচালিত অভিযানে উদ্ধারকৃত মোট নকল ব্যান্ডরোল বিহীন দেশ গোল্ড ব্র্যান্ডের সিগারেটের পরিমাণ ১ লাখ ৩১ হাজার ৪২০ শলাকা যার বাজার মূল্য ৫ লাখ ১২ হাজার ৫৩৮ টাকা এবং ফাঁকিকৃত রাজস্বের পরিমাণ ৪ লাখ ২৮ হাজার ৫৮২ টাকা। তাছাড়াও নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত বাংলা বিড়ি উদ্ধার করা হয় ১ লাখ ৮ হাজার শলাকা যার বাজার মূল্য ৭৭,০০০ টাকা এবং ফাঁকিকৃত রাজস্বের পরিমাণ ৩৫ হাজার টাকা।
কুমিল্লা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার উত্তম বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয় বিড়ি উৎপাদকরা নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে মূসক ফাঁকি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছিলেন। ফলে সদ্য যোগদানকৃত কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন মহোদয় নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে মূসক ফাঁকি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের ফাঁকি রোধে প্রিভেন্টিভ টিম গঠন করেন। প্রিভেন্টিভ টিম কর্তৃক পরিত্যক্ত স্থান হতে মালিকবিহীন উল্লিখিত পণ্যসমূহ উদ্ধার করা হয়। উক্ত উদ্ধারকৃত মালামাল বর্তমানে বিভাগীয় শুল্ক গুদাম, কুমিল্লা সংরক্ষিত আছে। মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ অনুসারে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন আছে।
তিনি আরো বলেন, বিড়ি ও সিগারেট খাত হতে আহরিত রাজস্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরত্বপূর্ণ ভূমিককা রাখে। ফলে অবৈধপথে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহারের মাধ্যমে বিক্রি হলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়। পাশাপাশি সরকারে রাজস্ব ফাঁকি, যা জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে পরিপন্থি হয়। উক্ত মূসক ফাঁকি বন্ধ, অভ্যন্তরীণ বিক্রয় বৃদ্ধি ও সিগারেট উৎপাদনকারী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ নিরসন এবং সরকারের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে এ ধরণের অভিযান ভবিষতেও অব্যাহত থাববে। আলোকিত কাস্টমস, আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে একইসাথে মূসক ফাঁকি রোধে এবং সরকারের যথাযথ রাজস্ব সুরক্ষার জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।