এমদাদুল হক সোহাগ:
কুমিল্লা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট আবারো ব্যতিক্রম সাফল্য দেখিয়েছে। ভ্যাট ফাঁকির পণ্য ধরতে গিয়ে ফেন্সিডিলের বড় চালান আটক করেছেন তারা। ২০১১ সালে কুমিল্লা কমিশনারেট প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম ট্রাক সহ ফেন্সিডিলের বড় চালান আটক করতে সমর্থ হয়েছে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে কুমিল্লা কাস্টমসের ভ্যাটের নিবারক টিম তাদের অভিযান পরিচালনার সময় ফেনী থেকে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড হয়ে কুমিল্লা শহরমূখী একটি কাভার্ডভ্যানের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে সেটিকে থামানোর সংকেত দিয়ে তল্লাসী করে ফ্রেশ পিয়ার্স লেখা ছয়টি ছোট কার্টুন খোলে ৫৮১ বোতল ফেন্সিডিল পাওয়া যায়। কাভার্ডভ্যান তল্লাসির সময় চালক কৌশলে পালিয়ে যায়। সহকারী কমিশিনার (সদর) মোহাম্মদ ছালাউদ্দিন রিপনের তত্বাবধানে এবং রাজস্ব কর্মকর্তা আহমদ সালাউদ্দিনের নেতেৃত্বে কুমিল্লা কাস্টমসের প্রিভেন্টিভ টিম ওই অভিযান পরিচালনা করে।
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশিনারেট কুমিল্লার সহকারী কমিশনার (সদর দপ্তর) মোহাম্মদ ছালাউদ্দিন রিপন বলেন, কুমিল্লা কাস্টমসের ভ্যাটের নিবারক দল মঙ্গলবার গভীর রাতেও অভিযান পরিচালনা করছিলেন। এসময় ফেনী থেকে কুমিল্লা পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড হয়ে কুমিল্লা শহরের দিকে সামনে শাহ আমানত লেখা মেসার্স শুকতারা ট্রান্সপোর্টের একটি কাভার্ডভ্যান (লক্ষীপুর-ট-১১-০০০৭) প্রবেশের সময় চালকের আচরণবধি সন্দেহজনক মনে হলে সেটিকে থামানোর সংকেত দেয়া হয়। এসময় আমাদের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী স্যারকে অবগত ও স্যারের অনুমতিতে কাভার্ডভ্যানটি তল্লাসী শুরু করি। তল্লাসী চালিয়ে কাভার্ডভ্যানের ভেতরে থাকা ছয়টি কার্টুনের ভেতর থেকে ৯৭ বোতল করে মোট ৫৮১ বোতল ফেন্সিডিল পাওয়া যায়। অভিযান চালানোর এক পর্যায়ে কাভার্ডভ্যানের চালক রাতের আধারে কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, আটক মালামাল বর্তমানে কাস্টমসের গুদামে জমা দেয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ি পরবর্তি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, করোনাকালেও আমাদের দপ্তরের প্রিভেন্টিভ টিমের কর্মকর্তাগণ মহাসড়কে নিয়মিত টহল দিয়ে আসছে। গত দুই মাস ধরে মহাসড়ক দিয়ে ফেন্সিডিল পাচারের গোপন সংবাদ পাওয়া গেলেও এভাবে হাতেনাতে ধরা পড়েনি। গত দুই মাসে প্রায় ৩০টির অধিক ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান র্মসক ও শুল্ক ফাঁকিসহ চোরাচালানকৃত পণ্য বহনের অভিযোগে আটক ও ১৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশিনারেট কুমিল্লার কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, করোনাকালেও নিয়মিত প্রিভেন্টিভ টহলের অংশ হিসেবে কার্যক্রম চলাকালে আমদানি নিষিদ্ধ মাদক আটক করা হয়েছে। মূলত ভ্যাট ফাঁকির পণ্য ধরতে গিয়ে ফেন্সিডিলের বড় চালান আটক করেছে কুমিল্লা কাস্টমস। তিনি আরো বলেন, এখন থেকে আমাদের অন্যান্য কাজের সাথে মাদকের বিরুদ্ধেওে অভিযান অব্যাহত থাকবে। অতিক্রিম নয় ব্যতিক্রম প্রত্যয়ে জিরো টলারেন্সের আওতায় চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে।