এমদাদুল হক সোহাগ, কুমিল্লা থেকে
কুমিল্লা জেলার মোট জনসংখ্যা ৬২ লাখ ১২ হাজার ২১৬ জন যার মধ্যে পল্লী এলাকায় বসবাসকারী ৪৯ লাখ ৪২ হাজার ৯৩৬ জন এবং শহর এলাকায় বসবাসকারী ১২ লাখ ৬৯ হাজার ২৮০ জন। জেলায় বস্তি এলাকায় বসবাসকারী জনসংখ্যা ২৪ হাজার ৪৭৬ জন এবং ভাসমান জনসংখ্যা ৪৫৩ জন। জেলার মোট জনসংখ্যার ৫৩.৩১% নারী এবং ৪৬.৬৯% পুরুষ। জেলায় বসবাসরত মোট জনসংখ্যার ৯৫.৫৬% মুসলিম, ৪.৩৩% হিন্দু, ০.০৯% বৌদ্ধ, ০.০১% খ্রিষ্টান এবং ০.০০৩% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর কুমিল্লা জেলার রিপোর্ট থেকে এই তথ্য জানা গেছে। ০২ জুলাই মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে ওই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।
৬ষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ১৫ থেকে ২১ জুন ২০২২ সময়ে Computer Assisted Personal Interviewing (CAPI) পদ্ধতিতে দেশব্যাপী একযোগে পরিচালিত হয়। জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন (গণনাকৃত) এবং ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন (সমন্বয়কৃত)।
প্রতিবেদন অনুসারে, জেলার প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা ৭২ হাজার ২৬৯ যা জেলার মোট জনসংখ্যার ১.১৬%। কুমিল্লা জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১ হাজার ৯৭৪ জন এবং জনসংখ্যার গড় বার্ষিক বৃদ্ধির হার ১.২৭%। কুমিল্লা জেলার জনসংখ্যার লিঙ্গানুপাত ৮৭.৫৮, নির্ভরশীলতার অনুপাত ৬৩.৪২ এবং শিশু-নারী অনুপাত 369.41। জেলার মোট কাজে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর (১০ বছর ও তদূর্ধব) মধ্যে ৪৮.৮১% সেবাখাতে, ৩৭.৩৩% কৃষিখাতে এবং ১৩.৮৭% শিল্পখাতে কর্মরত রয়েছেন। জেলায় ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার ৭৬.৬৮%; পুরুষ ও নারীর ক্ষেত্রে এ হার যথাক্রমে ৭৭.৬২% ও ৭৫.৮৮%।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, বিপিএম (বার) এবং সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. অমৃত কুমার দেবনাথ। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান এবং জেলা রিপোর্ট সংক্রান্ত উপস্থাপনা প্রদান করেন জেলা পরিসংখ্যান কার্যালযয়ের উপপরিচালক মো: হাবিবুর রহমান।