এমদাদুল হক সোহাগ
কুমিল্লা ডায়াবেটিক এসোসিয়েশনের উদ্যোগে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন করা হয়েছে। বিগত বছরে দিবসটি উপলক্ষে নগরীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, সেমিনার সহ জাকজমকভাবে উদযাপন করতো কুমিল্লা ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন। করোনা মহামারীর কারনে এবছর কিছুটা ঘরোয়াভাবে উদযাপন করা হয়েছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ডায়বেটিস-সেবায় পার্থক্য আনতে পারেন নার্সরাই’। দিবসটি উপলক্ষে কুমিল্লা ডায়াবেটিক হাসপাতাল প্রাঙ্গনে সকাল আটটায় বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা, মাস্ক বিতরণ, টিশার্ট বিতরণ করা হয়। বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা সকাল আটটা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে। শুরুতে দিবসটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন কুমিল্লা ডায়াবেটিক এসোসিয়েশনের কার্য নির্বাহী পরিষদের সহসভাপতি বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. মো: শহীদুল্লাহ। তিনি বলেন, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। একমাত্র সচেতনতাই পারে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে। তাই সকলেকে নিয়ম মেনে চলার আহবান জানান তিনি।
এসময় এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মীর্জা মো: কোরেশী, কোষাধ্যক্ষ প্রবাল শেখর মজুমদার মিঠু, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন আহমেদ, কার্য নির্বাহী পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউর রহমান বুলবুল উপস্থিত ছিলেন। চিকিৎসকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডায়াবেটিক হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডায়াবেটিস, মেডিসিন ও হরমোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অজিত কুমার পাল, ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো. শাহ আলম, ডা. তৌফিক উন নবী খান লিটন, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রঞ্জন তালুকদার, চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হেমন্ত কুমার রায় প্রমুখ।
ডাক্তার অজিত কুমার পাল বলেন, যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের অবশ্যই নিয়ম মেনে চলতে হবে। বছরে অন্তত একবার কিডনী, লিভার, হার্ট ও চোখ পরীক্ষা করতে হবে। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। আর যারা এখনো আক্রান্ত হয়নি তাদের অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ধূমপান ও তামাক সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে। যাদের পরিবারে বাবা-মা বা নিকট আত্মীয়ের ডায়াবেটিস আছে তাদের ৪০ বছরের পরে রক্তের গ্লুকোস পরীক্ষা করতে হবে। কায়িক পরিশ্রম করতে হবে।
কুমিল্লা ডায়াবেটিক এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ প্রবাল শেখর মজুমদার মিঠু বলেন, কুমিল্লা ডায়াবেটিস এসোসিয়েশন একটি সেবামূলক সংগঠন। ডায়াবেটিস রোগের বিস্তার প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচি সহ নানা উদ্যোগ এবং কর্মসূচি পালন করে আসছে। এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা ডায়াবেটিক হাসপাতালের মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়ত বৃহত্তর কুমিল্লার মানুষের সেবায় নেবেদিত রয়েছি।