কুমিল্লা নগরী ১০ নম্বর ওয়র্ডে করোনায় আক্রান্ত সর্বাধিক

এমদাদুল হক সোহাগ

গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকাতে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিলো ১১৭৬জন। তার মধ্যে নগরীর ১০নম্বর ওয়ার্ডে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৭৭জন। যা অন্যান্য ওয়ার্ডের চেয়ে অনেক বেশি। তারমধ্যে ৮৭জন সুস্থ্য হয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনায় ১০নং ওয়ার্ডকে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আক্রান্তের দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ৩নং ওয়ার্ড। ওই ওয়ার্ডে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৮৩জন। তারমধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৬৫জন। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ওয়ার্ডটিকে হলুদ জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

তৃতীয় স্থানে রয়েছে নগরীল ১৩নং ওয়ার্ড। ওই ওয়ার্ডে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৬জন। তারমধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৩৩ জন। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ১৮নং ওয়ার্ড। ওই ওয়ার্ডে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮জন। করোনা ভাইারাসে একজনও আক্রান্ত নন এমন একটি ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে ২৫নং ওয়ার্ড। তাছাড়া, ১নং ওয়ার্ডে ২০জন, ২নং ওয়ার্ডে ১৪জন, ৪নং ওয়ার্ডে ৭জন, ৫নং ওয়ার্ডে ৭২জন, ৬নং ওয়ার্ডে ৩৯জন, ৭নং ওয়ার্ডে ৩৯জন, ৮নং ওয়ার্ডে ৪৭জন, ৯নং ওয়ার্ডে ৪৩জন, ১১নং ওয়ার্ডে ৪৭জন, ১২নং ওয়ার্ডে ৩৩জন, ১৪নং ওয়ার্ডে ১৭ জন, ১৫নং ওয়ার্ডে ১৫জন, ১৬নং ওয়ার্ডে ৮জন, ১৭নং ওয়ার্ডে ১৪জন, ১৮নং ওয়ার্ডে ৭৮জন, ১৯নং ওয়ার্ডে ৩১জন, ২০নং ওয়ার্ডে ৩জন, ২১নং ওয়ার্ডে ৬১জন, ২২নং ওয়ার্ডে ৮জন, ২৩নং ওয়ার্ডে ৫জন, ২৪নং ওয়ার্ডে ৩জন, ২৬নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ২৭নং ওয়ার্ডে ২জন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে করোনা পরিস্থিতি প্রতিরোধ ও করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকার ওয়ার্ড ভিত্তিক করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ও সংক্রমের চিত্র উপস্থাপন করেন।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।

আরো উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার),পিপিএম, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর শওকত হোসেন।

১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মঞ্জুর কাদের মনি বলেন, ১০নং ওয়ার্ড নগরীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বড় ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে বসবাসকারী জনসংখ্যাও অন্যান্য ওয়ার্ডের চেয়ে অনেক বেশি। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় শুরু থেকেই প্রশাসনকে সহযোগিতা করে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি। অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষদের দফায় দফায় খাদ্য সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। করোনা মোকাবেলায় জনগণকে আরো সচেতন ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

সভার প্রধান অতিথি কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বলেন, কুমিল্লাকে বাঁচানোর জন্য সকলকের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা লাগবে। শুধু প্রশাসন বা এমপি বাহার চেষ্টা করলে হবেনা। সবাই যদি সবার অবস্থান থেকে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে তাহলে করোনা ভাইরাস থেকে কুমিল্লাকে বাঁচানো সম্ভব।

Post Under