দেলোয়ার হোসেন জাকির
কুমিল্লা বিবিরবাজার স্থলবন্দরের উন্নয়ন ও পরিচালনা বিষয়ে জরুরী নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কতৃপক্ষ, নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়। আগামি ৯, ১০ ও ১১ জানুয়ারি ভারতের স্থলবন্দর কতৃপক্ষের কুমিল্লা আগমন নিয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কুমিল্লা বিবিরবাজার স্থলবন্দর বর্তমান অবস্থা, আমদানি-রপ্তানি ও অবকাঠামোসহ দুই দেশের বানিজ্য নিয়ে সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা সদর ৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন দ্রæত কুমিল্লা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানির উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ভারতীয় প্রতিনিধি দলের কাছে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কথা বলে সকল সমস্যা সমাধান করা হবে। এমপি বাহার সিএন্ডএফ, পোর্ট অথারিটি ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কথা শুনেন, সম্যাগুলো দ্রæত সমাধান করে কুমিল্লা বিবিরবাজার স্থলবন্দর উন্নত মান, পরিচালনায় গতি সঞ্চার করার ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব কে এম তারিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, বিজিবির সিও লে কর্নেল গোলাম ফজলে রাব্বি, পিএ টু চেয়ারম্যান কবির খান। উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, কাস্টমস, ইমিগ্রেশন পুলিশ, আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রক াদিদপ্তর, বিবিরবাজার সিএন্ডএফ এজেন্ট কতৃপক্ষ, স্থলবন্দর পরিচালক বেক্সিমকো পোর্টস লিমিেিটড এর প্রতিনিধি।
সভায় বিবিরবাজার সিএন্ডএফ এজেন্ট কতৃপক্ষ বিবিরবাজার স্থলবন্দরের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয় তুলে ধরেন ধরেন। শুল্কস্টেশন ভবনের জরাজীর্ণ অবস্থা। রাস্তাঘাট ভাঙাচোরা ও দূর্বল অবকাঠামো বিষয়ে কতৃপক্ষের কাছে তুলে ধরা হয়। সিএন্ডএফ এর সাধারন সম্পাদক নির্মল পাল জানান, এই বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় কয়েকটি পণ্য রপ্তানি হলেও সেখান থেকে তেমন আমদানি হচ্ছে না। বাংলাদেশ থেকে যে পরিমান পন্য রপ্তানি করা হচ্ছে সেক্ষেত্রেও ব্যবসায়ীদের হয়রারিন শিকার হতে হচ্ছে। স্থল বন্দরের দুটি গেইট চাল না থাকায় অনেক সময় ব্যয় হয় পন্য খালাসে।
দুই দেশের চুক্তিতে আমদানি ও রপ্তানিতে যে সকল পন্যের তালিকা করা হয়েছে তাতে ব্যবসায়ীরা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। অপরিষ্কার ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ব্যবসায়ী ও ট্রাক চালকদের কোন সুযোগ-সুবিধা নেই বলেও জানানো হয়। স্থলবন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব কে এম তারিকুল ইসলাম জানান, আগামি ৯, ১০ ও ১১ জানুয়ারি ভারতের স্থলবন্দর কতৃপক্ষের ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল কুমিল্লা কুমিল্লা স্থল বন্দর পরিদর্শন করবে। সেখানে দুই দেশের ব্যবসার প্রসারে আলোচনা করা হবে।