কুমেক হাসপাতালে এমপি বাহারের পোর্টেবল এক্সরে মেশিন প্রদান
এমদাদুল হক সোহাগ:
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি অত্যাধুনিক পোর্টেবল ডিজিটাল এক্সরে মেশিন প্রদান করেছেন কুমিল্লা-৬ আসনের সাংসদ ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে ও অর্থায়নে তিনি ওই পোর্টেবল এক্সরে মেশিন চায়না থেকে আমদানি করেন।
১২ আগস্ট বুধবার দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিব রহমানের কাছে মেশিনটি হস্তান্তর করেন তিনি। পোর্টেবল ওই এক্সরে মেশিনের মাধ্যমে কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও আইসিইউ বেডে চিকিৎসাধীন রোগীরা সহজে বেডে বসে এক্সরে করাতে পারবেন। পোর্টেবল এক্সরে মেশিনের অন্যতম সুবিধা হচ্ছে সেটি ভ্রাম্যমান সেবা দিতে পারে।
বিশ্বজুরে করোনা মহামারি শুরু হলেই কুমিল্লা নগরীতে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালান এমপি বাহার। বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর কুমিল্লাবাসীর চিকিৎসার বিষয়ে উদ্বিঘ্ন হয়ে পড়েন। তাঁর দুরদর্শী চিন্তা ও কর্মের কারনে অল্পসময়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপন, ব্লাড সেপারেটর মেশিন, ডেডিকেটেড করোনা ট্রিটমেন্ট ইউনিট, হাই ফ্লু সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন সম্পন্ন করে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার দ্বার খুলে দেন।
তাছাড়া কুমিল্লাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে কুমেকে হাসপাতালে আইসিইউ সেবা চালুর যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহন করেন। তাছাড়া, নিজস্ব অর্থায়নে দুটি আইসিইউ বেড প্রদান করেন। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় হাই ফ্লু নেজাল ক্যানুলা খুবই কার্যকর বিধায় করোনা ইউনিটে হাই ফ্লু নেজাল ক্যানুলা ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং দলীয় ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ ও সংগঠনের মাধ্যমে সংগ্রহ করে কুমেক কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন।
কুমিল্লার সদর আসনের এমপি বাহারের একক প্রচেষ্টায় কুমিল্লা জেলা ছাড়াও কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষীপুর জেলার করোনা আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসাসেবা পেয়ে যাচ্ছেন।
শুধু চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতেই এমপি বাহার কাজ করেননি। তাঁর নির্বাচনী এলাকায় লকডাউনের কারনে আর্থিকভাবে দুর্দশাগ্রস্থ মানুষের জন্য দফায় দফায় খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। ক্যাটাগরি ভাগ করে তিনি সহযোগিতা করেছেন। তাছাড়া আওয়ামীলীগের দরিদ্র কর্মীদেরও সহযোগিতা করেছেন। মানুষকে ঘরে থাকার জন্য আহবান জানিয়েছেন। ভিডিও বার্তা দিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের আহবান জানিয়েছেন।
দেশের প্রথম কোন জেলা লেভেলের হাসপাতাল হিসেবে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের নজির সৃষ্টি হয়েছে এক মাত্র এমপি বাহরের কারনেই। তাঁর জন্য করোনা ট্রিটমেন্টে কুমেক হাসপাতাল দেশব্যাপী মডেল হয়ে দাড়িয়েছে।
১২ আগস্ট বুধবার ডিজিটাল পোর্টেবল এক্সরে মেশিনের সাথে আরো দুটি হাই ফ্লু নেজাল ক্যানুলাও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিব রহমানের কাছে হস্তান্তর করেন তিনি। হাই ফ্লু নেজাল ক্যানুলা দুটি এমপি বাহারের উদ্যোগে রোটারী ক্লাব অব কুমিল্লা একটি এবং অপরটি কুমিল্লা ত্রিকাল টাওয়ারের স্বত্বাধিকারী মো: জাহাঙ্গীর হোসেন ও তাঁর মেয়ে ডা: তাহমিনা হোসেনের সৌজন্যে এমপি বাহারের কাছে প্রদান করেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিব রহমান বলেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য কুমেকে একটি পোর্টেবল এক্সরে মেশিনের প্রয়োজন ছিলো। হাসপাতাল ব্যবস্তাপনা কমিটির সভাপতি কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও অর্থায়নে মেশিনটি চায়না থেকে আমদানী করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। আমরা স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞ। পোর্টেবল এক্সরে মেশিনের যে ঘাটতি ছিলো তা আজ পূরণ হয়েছে।