নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা নগরীতে ডায়াবেটিসে নিরাপদ রোজা, ঘুম ও জীবন ছন্দ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রাহ্মণপাড়া ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে কুমিল্লা ডায়োবেটিক হসপিটালের অডিটরিয়ামে এ আয়োজন করা হয়। এছাড়া ওই সেমিনারে ব্রাহ্মণপাড়া ডায়াবেটিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম খানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।এতে মূখ্য আলোচক ছিলেন আমেরিকার টেনেসির লিঙ্কন মেমোরিয়াল ইউনিভার্সিটি অধ্যাপক ও স্লিপ ডিস অর্ডার ক্লিনিকের সিইও ডা. হুমায়ূন কবির।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণপাড়া ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণপাড়া ডায়াবেটিক হাসপাতালের অনারারি কনসালটেন্ট ডা. আতাউর রহমান জসিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইজাজুল হক, শিক্ষানুরাগী মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী, বিএমএ কুমিল্লার সাবেক সভাপতি ডা, ইকবাল আনোয়ার।
বিশেষজ্ঞ বক্তব্য রাখেন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ, নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. জহিরুল হক, কুমিল্লা ডায়াবেটিক হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. দিলরুবা আক্তার।
ব্রাহ্মণপাড়া ডায়াবেটিক হাসপাতালের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জানান ব্রাহ্মণপাড়া ডায়াবেটিক সমিতির সহসভাপতি অ্যডভোকেট আ হ ম তাইফুর আলম। সূচনা বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি অধ্যক্ষ সৈয়দ আবদুল কাইয়ুম। বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মমিন ফেরদৌস, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সোলায়মান, ডা. এ কে এম আবদুস সেলিম, অধ্যাপক ডা. তৃপ্তিশ চন্দ্র ঘোষ, অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা। এছাড়া অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণপাড়া ডায়াবেটিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম খানকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন তার ছোট মেয়ে ডা. জিমাম আসফিয়া হাশেম। অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন কুমিল্লা পুলিশ লাইন জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা শরফুদ্দিন।
অন্যান্য আলোচকদের মধ্য ডা মোঃ জহিরুল হক বলেন, ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার কারনে অনেক সংসার ভেঙে যাচ্ছে। অনেকে আবার ঘুম থেকে উঠে নাক ডাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন, সেজন্য সেই নাক ডাকার ভিডিও আবার মোবাইলে ধারন করা হচ্ছে। পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য সেই ভিডিও নিয়ে আসছেন দম্পতিরা। নাক ডাকার মূল কারনের মধ্যে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া অন্যতম। তাছাড়া কাত হয়ে ঘুমালে নাক ডাকা কম হয়।