চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরের সেই ডুবন্ত বিদ্যালয় ভবন চিহ্নিত করতে অবশেষে বসানো হয়েছে লাল নিশানা ও বয়া। গত বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার রাজরাজেশ^র চরে নবনির্মিত ওমর আলী স্কুল কাম সাইক্লোন সেল্টারটি নদীতে ডুবে যায়। নদীর পানিতে ডুবে থেকে নৌ-দুর্ঘটনার ফাঁদে পরিণত হয়েছিল ৩ তলা বিশিষ্ট ভবনটি। রোববার সকালে রাজরাজেশ^র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবনের ভাসমান অংশে ৩টি লাল নিশানা লাগিয়ে দেয়। পরে দুপুরে চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ নৌদুর্ঘটনা এড়াতে ডুবে থাকা ভবনটি চিহ্নত করতে বয়া বসিয়ে দেয়।
রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী বলেন, পদ্মা নদীর এই রুট ব্যবহার করে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে মালবাহী কার্গ জাহাজসহ বিভিন্ন নৌ-যান। ভাঙনের কারণে ডুবে থাকা স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টারটি নৌদুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই নৌযান চালকদের সুবিধার্থে এখানে লাল নিশানা লাগানো হয়েছে। যাতে করে দূরে থেকে দেখেই চালকরা এই স্থানটি এড়িয়ে নৌযান চালাতে পারে।
চাঁদপুর বিআইডবিøউটিএ এর যুগ্ম-পরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ভবনটি নদীতে তলিয়ে থাকায় এই অঞ্চল দিয়ে চলাচলকারী নৌযানগুলোর জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। আমরা জায়গাটি পরিদর্শন শেষে ওই স্থানটিতে একটি বয়া বসিয়ে দিয়েছে। এর মাধ্যমে দূর থেকেই নৌযান চালকরা সতর্কভাবে চলাচল করতে পারবে।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে পদ্মা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ^র ইউনিয়নের ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টারটি। গত বৃহস্পতিবার সকালে নদীতে ডুবে যায় ৩ তলা ভবনটি। পদ্মা-মেঘনা নদী বেষ্টিত রাজরাজেশ^র চরে ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টারটি। উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাক বিদ্যালয়টি গত দুই মাস আগে কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
ক্যাপশন : চাঁদপুরের পদ্মা নদীতে ডুবে থাকা বিদ্যালয় ভবনটি চিহ্নিত করতে লাল নিশান ও বয়া বসানো হয়েছে।