এবার জুন মাসের বিদ্যুৎ বিলও বিলম্ব মাশুল ছাড়া পরিশোধ করার সুযোগ পাচ্ছেন গ্রাহকরা। তবে এ আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত গ্রাহকরা এ সুবিধা পাবেন।
বৃহস্পতিবার কমিশনের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিলম্ব মাশুল মওকুফ করেছিলাম। এরপর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের ভোগান্তি কমাতে তা বাড়িয়ে ৩০ জুন করা হয়। অর্থাৎ মে মাসের বিল জরিমানা ছাড়া দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এবার জুন মাসের বিলের ক্ষেত্রেও এই ছাড় দেওয়া হবে। সে হিসেবে গ্রাহক ৩১ জুলাই পযন্ত জরিমানা ছাড়া বিল দিতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রাহকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করা বিলম্ব মাশুল মওকুফ করা হলো। আজ বিকালেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা আদেশ জারি করেছি। দ্রুত প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এর আগে জুন পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব ফি মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিদ্যুৎ বিভাগ। ওই সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু সাংবাদিকদের বলেছিলেন, এই সময় ঝুঁকি নিয়ে তাড়াতাড়ি করে বিল দিতে হবে না। এজন্য বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব মাশুল মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিদ্যুৎ বিল নিয়ে নানা ভোগান্তির কথা আমাদের কানেও আসছে। কারও কোনও বাড়তি বিল করা হলে তা পরবর্তীতে সমন্বয় করা হবে।
বিদ্যুতের আবাসিক গ্রাহকরা বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে থাকেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয়ে গ্রাহকদের পক্ষে বিল পরিশোধ করা সম্ভব হবে না। এটি বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর আগে গত ৮ জুলাই এই বিলম্ব মাশুল মওকুফের জন্য কমিশনের কাছে চিঠি দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ।
চিঠিতে বলা হয়, অতিরিক্ত বিলের ভোগান্তির কারণে অনেকেই জুনের মধ্যে তাদের সব বিল পরিশোধ করতে পারেননি। ফলে গ্রাহকদের জন্য ৩১ জুলাই পযন্ত বিলম্ব মাশুল মওকুফের জন্য বিইআরসিকে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
সে সময় কমিশন জানায়, লাইসেন্সকারী বিতরণ কোম্পানিগুলো আবেদন করলেই তারা মওকুফ করার আদেশ দেবেন। এরপর বিতরণ কোম্পানিগুলোও আবেদন করে একে একে। তাদের আবেদনের ওপর ভিত্তি করে আজ আদেশ দেওয়া হয়।