কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা (বড়–ইয়া বাড়ি) গ্রামে এলাকার প্রবীণদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে বৃহস্পতিবার (০৩ মার্চ) সকাল ১০ টায় উদ্বোধন করা হয়েছে। ডা. সামছুল হক ও সুরাইয়া বেগম মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ্রীন ভিউ স্পেশালাইজ হসপিটাল ও খাড়েরা সবুজ সংঘের সহযোগিতায় বিনামূল্যে প্রবীণদের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ্রীন ভিউ স্পেশালাইজড হসপিটাল এর অন্যতম পরিচালক খাড়েরা গ্রামের কৃতি সন্তান ডা. মো. আবু হামেদ বাবু।
অনুষ্ঠানে দেলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আজিজুর রহমান মাস্টার এর সভাপতিত্বে প্রধাণ অতিথি ছিলেন, খাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহাম্মদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কসবা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের স্বপন, সাংবাদিক নাজমুল হক সজল, মো. শাখাওয়াৎ হোসাইন, খাড়েরা ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, খাড়েরা ইউপি বিএনপি’র আহŸায়ক মিজানুর রহমান, খাড়েরা ইউপি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মীর হেলাল উদ্দিন, আনসার ও ভিডিপি’র সাবেক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, খাড়েরা ইউপি’র ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার মিজানুল ইসলাম, সুবেদার মেজর (অবঃ) আবদুর রউফ, খাড়েরা ইউপি যুবলীগ সভাপতি মেজবাউর রহমান রিমন ও খাড়েরা গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খাইরুল ইসলাম জীবন।
খাড়েরা সবুজ সংঘের আবদুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন কসবা প্রেসক্লাব সাংগঠনিক সম্পাদক ও খাড়েরা সবুজ সংঘের সমন্বয়কারী লোকমান হোসেন পলা। এসময় এলাকার শতাধিক চিকিৎসা সেবা গ্রহণকারী প্রবীণ নারী-পুরুষ, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ডা. সামছুল হক ও সুরাইয়া বেগম মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা খাড়েরা গ্রামের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. ফজলুল হক টিপু জানান, তিনি তার মা-বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এলাকার প্রবীণ নাগরিকদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। জীবনের একটা পর্যায়ে এসে এসকল প্রবীণেরা অসহায় হয়ে পরেন, হয়ে পরেন সংসারে অবহেলিত। আমি আমার সামথ্য অনুযায়ী এসকল প্রবীণদের পাশে থাকতে চাই। আমার এই মহৎ কাজে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ্রীন ভিউ স্পেশালাইজড হসপিটাল ও খাড়েরা সবুজ সংঘ সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছেন। তিনি বলেন, এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রতি মাসের ১ম ও ৩য় শুক্রবার বড়–ইয়া বাড়িতে এলাকার ১০০ জন কার্ডধারী প্রবীণ ব্যক্তিদের বিনামূল্যে প্রাথমিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় ঔষধসহ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে। তিনি সমাজের সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, ভাল কাজ করতে হলে ভাল ইচ্ছা দরকার, অনেক টাকার দরকার নেই।