তত্ত্বাবধায়ক আরও জানিয়েছিলেন, “এর আগে, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে আবাসিক চিকিৎসক রানা নূরুস শামস ও ফাইজুর রহমান নিয়মিত দায়িত্ব পালন না করায় তাদের বেতন বন্ধ রাখতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন। এই নিয়ে দুজন চিকিৎসক তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। চক্ষু বিভাগের ওই চিকিৎসক ৩১ জুলাই ঘটনার পর রানা নূরুস শামস ও ফাইজুর রহমানের কাছে যান৷ পরে রানা নূরুস শামস ও ওবায়দুল্লাহসহ তিনজন চিকিৎসক আবার তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে আসেন। এসময় চিকিৎসক রানা নূরুস শামস তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেন এবং হুমকি দেন। পরবর্তীতে অন্যান্য চিকিৎসকরাও একসঙ্গে মিটিং করেন। পরে ওই চিকিৎসকেরা বাইরে থেকে সিসি ক্যামেরার লাইন বন্ধ করে আবার কক্ষে আসেন।
এসব বিষয় তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন বলেও এই প্রতিবেদকের কাছে তথ্য দেন। মূলত এসব কারণে তার ওপর বিরক্ত ছিল চিকিৎসকরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুন নূর বলেন, অফিস খোলার দিন পিকনিকে যাওয়ায় রোগীদের সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার চেয়ে বেশি খারাপ লেগেছে একজন উর্দ্ধতন চিকিৎসকের মৃত্যুর রেশ না কাটতেই তারই সহকর্মী চিকিৎসকরা কিভাবে এ ধরণের আনন্দ ফুর্তির আয়োজন করতে পারলেন, সেটা ভেবে। চিকিৎসকের মতো মহান পেশাজীবীদের কাছ থেকে সাধারণ মানুষ এমনটা আশা করেন না। সহকর্মীর মৃত্যুর দুই দিনের মাথায় এ ধরণের আনন্দ আয়োজন নি:সন্দেহে অমানবিক। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
তত্ত্বাবধায়কের মৃত্যুর পরে প্রমোদ ভ্রমণে যাওয়া প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে অন্তত চারজন চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এই প্রতিবেদক। এদের মধ্যে একজন চিকিৎসক এই নিয়ে কিছু না লিখতে অনুরোধ করেন এবং বাকিরা কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জের দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্টের সুপারভাইজারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসকরা পিকনিকের জন্য এ রিসোর্ট বরাদ্দ নিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, তিন বেলা খাবারসহ এই রিসোর্টে এক দিনের ভাড়া ২১ হাজার টাকা।