দেবীদ্বারে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা

এবিএম আতিকুর রহমান বাশার
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, মহান মুক্তিযুদ্ধের অগ্রসেনানী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র স্বপ্ন বাস্তবায়নে আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমাদের রেখে যাওয় স্বাধীন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৫০ বছর বছর পূর্তীতে (সুবর্ণ জয়ন্তী) উদযাপন উপলক্ষে আমেরিকা প্রবাসী মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত ডাঃ ফেরদৌস খন্দকারের সহযোগীতায় ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা কমিটি’ কর্তৃক আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধারা এই আহবান জানান।
শুক্রবার সকাল ১০টায় দেবীদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কাজী গোলাম মহিউদ্দিন ফারুকী মিলনায়তনে প্রায় দুই শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ওই সম্মাননা দিলেন ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা কমিটি’।
‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা কমিটির আহবায়ক ও দেবীদ্বার মফিজ উদ্দিন আহাম্মেদ মডেল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার’র সভাপতিত্বে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা কমিটির সদস্য সচিব কাউছার হায়দার’র সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবীন রাজনীতিক ও আওয়ামীলীগ কুমিল্লা (উঃ) জেলা কমিটির সহ-সভাপতি এডভোকেট নিজামুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও কুমিল্লা (উঃ) জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ¦ মোঃ হুমায়ুন কবির, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সাজেদা আক্তার মায়া, সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মানিরুজ্জামান আউয়াল, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুস সালাম বিন নান্নু মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ বশিরুল আলম ভ‚ঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ ইঞ্জিনিয়ার মফিজুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম নবী, বাংলাদেশ শিক্ষাসেবা কমিটি উপজেলা সাধারন সম্পাদক মোঃ মাহাবুব আলম, আওয়ামীলীগ গুনাইঘর (উঃ) ইউনিয়ন’র সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল হক রাসেল, যুবলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার রাসেল বিন সালাম, ছাত্রলীগ নেতা মোস্তফা কামাল, শ্রমিক লীগ উপজেলা সাধারন সম্পাদক শাহিনুর আক্তার লিপি, নারী নেত্রী রীমা আক্তার, আয়শা আলী মুক্তা প্রমূখ।
আয়োজকরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রত্যেক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন এবং উত্তরীয়, মনোগ্রামসহ বেচপিন, চাবির রিং, খাবার প্যাকেট ও সম্মানী প্রদান করা হয়। বক্তারা বলেন, আগামী প্রজন্ম যাতে মুক্তিযোদ্ধাদের চিনতে, জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুক্তিযুদ্ধার এলাকা দেবীদ্বারের মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়ক, প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনার নামকরণ করার জোর দাবী জানান।

Post Under