আজিজুর রহমান চৌধুরী
নাসিরনগর উপজেলায় হঠাৎ শিলা বৃষ্টিতে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে ৭০ হেক্টর ফসলি জমি। এ ঘটনায় কৃষকরা দিশেহারা।
গত কিছুদিন আগে হঠাৎ শিলা বৃষ্টিতে নাসিরনগর সদর, ভলাকুট,গোয়ালনগর,কুন্ডা, পূর্বভাগ, হরিপুর, গোকর্ণ, বুড়িশ্বর ইউনিয়নে ফসলি জমি, গাছপালা,ঘর বাড়ি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পর পরই হবিগঞ্জ সংলগ্ন পাহাড়ি ঢলের পানিতে, পার্শ্ববর্তী সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের আগাম বন্যার পানির কারণে কিছুদিনের মধ্যেই নাসিরনগর উপজেলায় পানি বৃদ্ধি হওয়ায় বিভিন্ন ইউনিয়নে বোরো ফসল পানির নীচে তলিয়ে গেছে। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে নাসিরনগর উপজেলায় বোরো ধান কাটা শুরু হলেও বিস্তীর্ণ এলাকায় ধান পরিপক্ক না হওয়ায় পুরোদমে ফসল কাটা শুরু হয়নি। হঠাৎ জমিতে পানি প্রবেশ করায় কাঁচাও আধাপাকা ধান কাটা হচ্ছে। সময়মত ধান কাটতে না পারায় শত শত একর বোরো ফসলি জমি পানির নীচে তলিয়ে গেছে। শিলা বৃষ্টিতে প্রায় ১২০ হেক্টর বোরো জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক জানান, আগাম পানিতে নাসিরনগর উপজেলায় ভলাকুট, গোয়ালনগর, নাসিরনগর সদর, কুন্ডা, বুড়িশ্বর, পুর্বভাগ,গোকর্ণ, হরিপুর ইউনিয়নে প্রায় ৭০ হক্টর ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে। উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাসহ কৃষি বিভাগের সকল কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করছেন এবং ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান ও সদস্যরা তালিকা করছে।
সোমবার ১৯ এপ্রিল জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপপরিচালক মোঃ রবিউল হক মজুমদার ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মেহেদী হাসান খান শাওন এলাকায় মাইকিং করে ৮০% ধান পাকা হলে ধান কর্তন করার জন্য কৃষকদের অবহিত করেন। কৃষক মিন্টু মিয়া জানান, ধান কাটা শ্রমিকের যে মূল্য দিতে হয়, সেই পরিমান মূল্যের ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তারা সর্বত্র হারিয়ে দিশেহারা। উপজেলা কৃষি সূত্রে জানা যায়, নাসিরনগর উপজেলায় এ বছর ১৭ হাজার ৩১২ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে।