আজিজুর রহমান চৌধুরী
নাসিরনগর উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে অসংখ্য ঘরবাড়ি এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
১১ই এপ্রিল সোমবার শেষ রাতে হঠাৎ প্রচন্ড ঝড় তুফান ও শিলা বৃষ্টিতে নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অসংখ্য বাড়ি ঘর দুমরে-মুচরে ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে যায় এবং শিলা বৃষ্টিতে ফসলের মারত্মক ক্ষতি সাধিত হয়। জানা যায়,উপজেলার ভলাকুট, চাতলপাড়, গোয়ালনগর, নাসিরনগর সদর, কুন্ডা, বুড়িশ্বর, গোকর্ণ, পূর্বভাগ, হরিপুর সহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্নিঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ঘর বাড়ি, ফসল ও গাছপালা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মেহেদী হাসান খান শাওন, থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার ভলাকুট খাগালিয়া বালিখোলা বাঘী,কান্দি,কাহেতুরা, কাঠালকান্দি, ধানতলিয়া বিভিন্ন গ্রামে অসংখ্য বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের পর নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে প্রায় ২৫০ ঘর বাড়ি দোকানপাট ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যায় এবং প্রচন্ড শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের পাকা, আধাপাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়।এমনকি অনেক কৃষকের জমির পাকা ধান শিলার আঘাতে একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। বৈশাখের আগেই কালবৈশাখীর হঠাৎ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও সাধারন মানুষ দিশেহারা। ফসল ঘরে তোলার আগ মুহুর্তে এমন ক্ষয় ক্ষতিতে সাধারন কৃষক হতভম্ব। তাৎক্ষনিক ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমান জানা না গেলেও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক জানান, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ১২০ হেক্টর জমিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়াও প্রচন্ড ঝড়ের আঘাতে আহত হয়ে অনেকেই বর্তমানে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলায় সর্বত্র বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।