রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রতিটি স্তরে নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বঙ্গভবনের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নির্দেশ দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বুধবার দুপুরে দরবার হলে বঙ্গভবনের সব সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে এ নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনের প্রতিটি স্তরে নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। বঙ্গভবনের সুনাম অক্ষুন্ন রাখার পাশাপাশি কিভাবে আরও বাড়ানো যায়- সেই ব্যাপারে ভাবতে হবে।
বঙ্গভবনের প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ দায়িত্ব নিষ্ঠা, সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করবেন এবং বঙ্গভবনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সচেষ্ট থাকবেন বলে তিনি আশা করেন। তিনি বলেন, আপনাদের প্রতিটি কর্মকাণ্ড এমন হতে হবে যাতে জনগণ আপনাদের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পারেন।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সততা ও ন্যায়ভিত্তিক, জ্ঞাননির্ভর ও আলোকিত জনপ্রশাসনের কোনো বিকল্প নেই। আপনারা সরকারের আইন, বিধি-বিধান ও জনস্বার্থ দ্বারা পরিচালিত হবেন। মনে রাখবেন সব আইন প্রণীত হয় জনগণের কল্যাণের জন্য।
বঙ্গভবনকে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্মারক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর সঙ্গে মিশে রয়েছে বঙ্গভবনে কর্মরত প্রতিটি কর্মচারীর মেধা, শ্রম ও আন্তরিকতা। বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হলেও একজন নাগরিক হিসেবে সরকারি কাজের পাশাপাশি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সার্বক্ষণিক প্রয়াস চালাবেন বলে রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়নের পথে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হয়েছে। দেশের চলমান উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, জনগণ যাতে তাদের প্রত্যাশিত সেবা সহজে ও নির্বিঘ্নে পেতে পারে সেদিকে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে আপনারা জনগণের সেবক, প্রভু নন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু আজ শুধু বাংলাদেশি নয়, সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের প্রেরণার উৎস।
মো. সাহাবুদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সব সংসদ সদস্য যাদের ভোটে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।