এমদাদুল হক সোহাগ:
দেশের দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঈদ উপহার হিসেবে আড়াই হাজার টাকা পায়নি প্রতিবন্ধী বাবলু। কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় টাউনহল কেন্দ্রিক চলাফেরা আছে এমন মানুষের কাছে বাবলু একটি পরিচিত মুখ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কান্দিরপাড় এলাকার টাউনহল মিলনায়তন এলাকায় বিচরন তাঁর। দাড়িয়ে হাটতে পারেননা বাবলু। অনেক কষ্ট করে চলাফেরা করলেও সে পোষাক-ব্যবহারে অন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রম।
টাউনহল কেন্দ্রিক ভাসমান যেসকল মানুষ রয়েছে এবং মানুষের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে চলেন তাদের মধ্যে বাবলু অন্যতম। মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে কান্দিরপাড় ও টাউনহল কেন্দ্রিক ওই ভাসমান মানুষের অবস্থা অনেক সূচনীয়। করোনার শুরুতে অনেক ব্যক্তি সংগঠন খাবার বিতরণ করেছেন। কিন্তু এখন আর তেমন কেউ খাবার বিতরণ করেননা। তাছাড়া আগে প্রচুর মানুষ টাউনহল মাঠের চায়ের দোকানগুলোতে ভির করতেন। তাদের দেয়া খাবারেই কাটতো দিন। যে সাহায্য পেতেন সেগুলো দিয়ে কোন রকমে অনেকের সংসারও চলে যেতো।
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে টাউনহল মাঠে গিয়ে কথা হয় বাবলু সহ ভাসমান মানুষগুলোর সাথে। চেহারায় ফুটে আছে ক্ষুদার জ্বালা। তারপরেও নীল আকাশে ঘুড়ি উড়ছে, হাতে নাটাই নিয়ে অনেকটাই মগ্ন ঘুড়ি নিয়ে। কেমন আছেন জানতে চাইলেই বলেন, ভাই আমাদের অবস্থা খুব খারাপ।
করোনায় সাহায্য সহযোগিতা পেয়েছে কিনা জানতে চাইলে বাবলু বলেন, আদর্শ সদর উপজেলা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ নামের একটি সংগঠন থেকে ডা: তৃপ্তিষ চন্দ্র ঘোষ ও রায়হান রহমান হেলেন নামের দুজনের উদ্যোগে কয়েকবার চাল ডাল সহ বিভিন্ন সহযোগিতা পেয়েছেন। সরকারি কোন অনুদান পেয়েছেকিনা জানতে চাইলে, বাবলু বলেন তিনি নগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের ভোটার ও বাসিন্দা। সারাদিন টাউনহলে থাকলেও রাতে পরিবারের সাথে থাকেন। সেখানে তাঁর স্ত্রী ও আটবছরের কন্যাও রয়েছে। করোনা মহামারি শুরুর পর এই পর্যন্ত ওয়ার্ড কান্সিলর সৈয়দ মো: সোহেলের মাধ্যমে পাঁচ কেজি চাল পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর আড়াইহাজার টাকা পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি টাকা পাইনি। কাউন্সিলর আমার নাম দেয়নি। টাউনহলের অন্যান্য ভাসমান মানুষ গুলো বলেন করোনায় ভালো নেই তারা। তাদেরকে যেন আরো সহযোগিতা করে সে দাবি জানিয়েছেন ।