ফেনী শহরের মাষ্টারপাড়ার নিজ বাড়ী প্রাঙ্গণ ‘মুজিব উদ্যানে’ পূর্বনির্ধারিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করতে পারেননি আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন হাজারী। নিজ দলের প্রতিপক্ষরা শহরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক এ সাধারণ সম্পাদক। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে শনিবার বিকাল চারটায় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সমাবেশের কর্মসূচী ঘোষণা করেছিলেন জয়নাল হাজারী।
বিকালে সাংবাদিকদের তিনি অভিযোগ করেন, কর্মসূচীকে ঘিরে ফেনী শহরে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবেশে বাধা দেয়া হয়েছে। শহরের প্রবেশপথে, পাড়া-মহল্লায় পাহারা বসানো হয়েছে। পথে পথে বাধা এমনকি হুমকি-ধমকি ও কয়েকজনকে লাঞ্চিত করা হয়েছে।শুক্রবার পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ত্রিশ জন মুক্তিযোদ্ধাকে আসতে দেবে।কিন্তু আজ একজনও আসতে পারেনি।
জয়নাল হাজারীর অভিযোগ, মাষ্টারপাড়ায় কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।তার পরিবারের লোকজনকেও বাড়িতে প্রবেশে বাধা দিয়েছে। ভাতিজিকেও তারা লাঞ্ছিত করেছে।
তিনি বলেন,সারা দেশেই আমার পরিচিতি রয়েছে।কেবল ফেনীতে যারা চাঁদাবাজি,টেন্ডারবাজি,লুটপাট করে তারা আমাকে এখানে আসতে দিতে চায় না।অথচ আমি না থাকলে ফেনীসহ আশপাশের এলাকার আওয়ামীলীগ দাঁড়াতে পারত না।আমি কারও সম্পদ দখল করিনি,বরং বাপের দেয়া তিন কোটি টাকার সম্পদ বিক্রি করেছি। এখন অনেকেই রাজনীতির নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হচ্ছে। তবে তার সময়ে স্টিয়ারিং বাহিনী ও ক্লাস কমিটির কারনে কিছুটা বদনাম হয়েছে বলে স্বীকার করেন ওই সময়ের ‘গডফাদার’ খ্যাত এ আওয়ামীলীগ নেতা।
তিনি বলেন আমাকে বেশ কয়েকবার হত্যা চেস্টা করা হয়েছে। আমি আপনাদের দোয়ায় এখনও বেঁচে আছি।আমার মরে যাওয়ার বয়স হয়েছে। আমি ঢাকায় গিয়ে করোনায় আক্তান্ত হয়ে না মরে ফেনীতে মরলে ইতিহাস হয়ে থাকবো। আমি মূত্যুকে ভয় করি না।বঙ্গবন্ধু মরে গিয়ে আরও বড় হয়েছেন।আমিও মরে ইতিহাস হতে চাই।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জয়নাল হাজারী বলেন, ফেনী যদি শন্তির জনপদ হয়-কেন একরামকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মারা হল? নুসরাতকে কেন পুড়িয়ে মারা হল?
শুরুতেই সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে তাদের কৃতজ্ঞতা জানান জয়নাল হাজারী।তিনি বলেন,গত ২০ বছরে সাংবাদিকদের এত সমর্থন আমি পাইনি।