মোঃ ইকরামুল হক:
কুমিল্লার বরুড়া হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকায় এদিন দিবসটি উপলক্ষে সীমিত পরিষরে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বরুড়া উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে বরুড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধাগনের অংশগ্রহনে ও উপজেলা প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের অংশগ্রহনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আনিসুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরুড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ এন এম মইনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ, উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুল মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুস সাত্তার, পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন ৭ ডিসেম্বর কুমিল্লার বরুড়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এদিনে পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে বরুড়া মুক্ত হয়। দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধ আর নির্যাতনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীসহ সর্বস্তরের জনগণের উল্লাস ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে উঠে, মুক্ত হয় বরুড়া। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর রাতে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সাড়াশী আক্রমণে পাক সেনারা তাদের ক্যাম্প গুটিয়ে বরুড়া ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। রাতের মধ্যে অবস্থানরত পাক সেনাদের সঙ্গে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে পাকসেনাদের প্রধান ঘাঁটি পতনের মধ্য দিয়ে পরদিন ৭ ডিসেম্বর বরুড়া পাক সেনা মুক্ত হয়। এদিন ভোরে মুক্তিসেনারা বরুড়ার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে আনন্দ উল্লাস করে কুমিল্লা শহরে প্রবেশ করে। স্থানীয় জনসাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে বরণ করে নেয়। পরে এদিন বিকেলে বরুড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, মিত্রবাহিনী ও জনতার উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা। এসময় আলোচনা সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তার যুদ্ধ কালিন সময়ে বিভিন্ন ঘটনা স্মৃতিচারণ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিকভাবে ইতিহাস তরুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আহবান করেন।