ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে কাউন্টারম্যান এবং আরএনবি সদস্যসহ কালোবাজারি আটক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কাউন্টার সেলসম্যান এবং আরএনবি সদস্যসহ টিকেট কালোবাজারিকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে চালানো ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেলিম শেখ। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারির বিষয়টি দেশজুড়ে আলোচিত। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার ইউএনও মহোদয়ের নেতৃত্বে পরিচয় গোপন রেখে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ছদ্মবেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের টিকিট কাটতে গেলে টিকেট কাউন্টার সেলসম্যান তাদের কাছে ট্রেনের ৬০ টাকার টিকেটের দাম ১০০ টাকা চায়। নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দাম চাওয়ায় কালোবাজারীর অপরাধে সেলসম্যানকে আটক করা হয়। টিকিট সেলসম্যান কাজীপাড়ার জালাল বেদার ছেলে সালাউদ্দিন। তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

একই সময় রেলওয়ে নিরাপত্তারক্ষী (আরএনবি) বিপ্লব চন্দ্র দাস নিজে বসে ট্রেনের টিকেট বিক্রয় করছিলেন। তার কাছেও তারা যান টিকেট ক্রয় করতে। দাম দর করার পর টিকেট দেয়ার সময় আঁচ করতে পারেন ম্যাজিস্ট্রেটের হানা। দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আনসার সদস্যরা আটক করেন। আরএনবি সদস্য বিপ্লব চন্দ্র দাস হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার হরষপুরের অয়ন চন্দ্র দাসের ছেলে। তাকে রেলওয়ে আইন ১৮৯০ এর ১০১ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

একইভাবে আয়েশা বেগম ও আরাফাত নামের আরও দুই টিকিট কালোবাজারিকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাদেরকে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

Post Under