এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সারা দেশে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু ৭ ফেব্রুয়ারি রোববার। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ণে করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম ধাপে অর্ধলক্ষাধিক ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা শহরের মেড্ডাস্থ জেলা ইপিআই সেন্টারের হিমাগার থেকে প্রথম ধাপে পাঁচ হাজার ৪০০ ভায়ালে ৫৪ হাজার ১০০ ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ কার্যক্রম শুরু করা হয়। ওয়ার্ড হেলথ অরগানাইজেশনাল স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলার ইপিআই সেন্টার গুলোতে করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৮০০ ভায়ালে মোট এক লাখ আট হাজার করোনার ভ্যাকসিন জেলা ইপিআই সেন্টার হিমাগারে সংরক্ষণ করা হয়েছিলো। শনিবার প্রথম ধাপে জেলার ৯টি উপজেলায় পাঁচ হাজার ৪০০ ভায়ালে মোট ৫৪ হাজার ১০০ ডোজ ভ্যাকসিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই সেন্টারগুলোতে পাঠানো হয়। বর্তমানে জেলা ইপিআই সেন্টার হিমাগারে সংরক্ষিত আছে আরও ৫৩ হাজার ৯০০ ডোজ ভ্যাকসিন।
আরো পড়ুনঃ
জেলা ইপিআই তত্ত্বাবধায়ক আমিনুল ইসলাম জানান, জেলায় ৯টি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ইপিআই সেন্টারগুলোতে পাঁচ হাজার ৪১০ ভায়ালে মোট ৫৪ হাজার ১০০ ডোজ করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে। যার মধ্যে সদর উপজেলায় এক হাজার ভায়ালে ১০ হাজার ডোজ, নবীনগর উপজেলায় ৯৪০ ভায়ালে ৯ হাজার ৪০০ ডোজ, সরাইল উপজেলায় ৬০০ ভায়ালে ছয় হাজার ডোজ, কসবা উপজেলায় ৬০০ ভায়ালে ছয় হাজার ডোজ, নাসিরনগর উপজেলায় ৫৯০ ভায়ালে পাঁচ হাজার ৯০০ ডোজ, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৫৭০ ভায়ালে পাঁচ হাজার ৭০০ ডোজ, বিজয়নগর উপজেলায় ৪৯০ ভায়ালে চার হাজার ৯০০ ডোজ, আশুগঞ্জ উপজেলায় ৩৪০ ভায়ালে তিন হাজার ৪০০ ডোজ এবং আখাউড়া উপজেলায় ২৮০ ভায়ালে দুই হাজার ৮০০ ডোজ করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়। এসময় অন্যানের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন, জেলা প্রশাসনের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেদ মুহিদ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মাহমুদুল হাসানসহ জেলা ও উপজেলা ইপিআই সেন্টারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ্ বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘জেলায় ১০ হাজার ৮০০ ভায়ালে মোট এক লাখ আট হাজার করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা হয়। প্রথম ধাপে ৯ উপজেলায় ৫৪ হাজার ১০০ ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে আরও পাঁচ হাজার ৩৯০ ভায়ালে মোট ৫৩ হাজার ৯০০ ডোজ ভ্যাকসিন সংরক্ষিত আছে।