এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় কুদ্দুস মিয়া (৩০) নামের এক যুবক খুনসহ পৃথক স্থান থেকে দুইজনের মরেদহ উদ্ধার হয়েছে। তাদের মধ্যে ঝোপঝাড় থেকে উদ্ধার হয় যুবতি হোসনে আরার (২৫) গলিত মরদেহ এবং মার্কেটের ছাদ থেক উদ্ধার হয় ইলেক্ট্রিক কর্মী বিকাশ কুমারের (৪০) মরদেহ। বৃহস্পতিবার জেলার নাসিরনগর, নবীনগর ও জেলা সদরে ঘটেছে এসব ঘটনা। পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্বার করে পাঠিয়েছে মর্গে।
স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের খাগালিয়া গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় কুদ্দুস মিয়া (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়। বাড়ির সীমানা নিয়ে প্রতিবেশী মহিবুল্লাহর সাথে কুদ্দুসের বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে মহিবুল্লাহ তার লোকজন নিয়ে কুদ্দুস মিয়ার উপর হামলা চালালে সে গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাবার পথেই তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
এদিকে জেলার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকূট ইউনিয়নের মেরকুটা গ্রামে বাড়ির পাশের ঝোঁপঝাড় থেকে হোসনে আরা (২৫) নামে এক যুবতির গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত হোসনে আরা ওই গ্রামের মৃত তাজু মিয়ার মেয়ে। গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে সে নিখোঁজ ছিলো। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে নবীনগর থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার সকাণে জেলা সদরে সদর থানা মার্কেটের ছাদ থেকে বিকাশ কুমার (৪০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে শহরের মধ্যপাড়া এলাকার মৃত রমনী রঞ্জন দেবের ছেলে। পুলিশ জানায়, সে মার্কেটের ছাদে বিদ্যুতের কাজ করছিলো। তবে কিভাবে সে মারা গেছে তা জানা যায়নি। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘মরদেহগুলো উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ঘটনাগুলোর তদন্ত চলছে।