এমদাদুল হক সোহাগ:
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) এর চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব মো: তাজুল ইসলাম শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন। পুরস্কার হিসেবে তিনি সনদ, ক্রেস্ট ও ৭৬ হাজার ৪৯০ টাকা পাবেন। গত ২৩ মে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রশাসনিক শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহা: লিয়াকত আলী খান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান (সংশোধন) নীতিমালা, ২০২১ এর ৩ এর ২ ও ৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো: তাজুল ইসলামকে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হলো। পেশাগত দক্ষতা, সততা ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর শুদ্ধাচার পুরস্কার চালু করে।
অতিরিক্ত সচিব মো: তাজুল ইসলাম ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে রুগ্ন ও ডুবন্ত বিআরটিসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর তার যাদুকরী নেতৃত্বে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আলোর মুখ দেখতে শুরু করে রাষ্টীয় প্রতিষ্ঠানটি। এক সময় কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন দিতে না পারা ও লোকসানে থাকা বিআরটিসি এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। করোনা মহামারীর মধ্যেও বিআরটিসি লাভবান প্রতিষ্ঠান হিসেবে গৌরব অর্জন করেছে। যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি সহ বিআরটিসির আমুল পরিবর্তন ও দেশের সকল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং বাস ডিপোগুলোর আধূনিকায়ন ইতিমধ্যেই দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়িয়েছেন। বিআরটিসির বহরে যোগ করেছেন নতুন নতুন আধুনিক বাস। সব মিলিয়ে বিআরটিসির এমন উন্নয়ন হবে তা কখনো কেউ ভাবেনি। শুধুমাত্র বর্তমান চেয়ারম্যানের মতো দক্ষ প্রশাসক পেয়েছে বলেই বিআরটিসি আজ মাথা উঁচু করে দাড়াতে পেরেছে। বিআরটিসির অভূতপূর্ব উন্নয়ন দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
মোঃ তাজুল ইসলাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব এবং বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১১ ব্যাচের সদস্য। চেয়ারম্যান, বিআরটিসি পদে যোগদানের পূর্বে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এর অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন মাঠপ্রশাসন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামে।