শেখ হাসিনাকে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের অভিনন্দন

কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলেতে জাতিসংঘের স্বীকৃতি

স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও সাধারণ সম্পাদক জননেতা আরফানুল হক রিফাত এক যুক্ত বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ভাবন ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ মডেলের জাতিসংঘের স্বীকৃতি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। দি শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ নামে এই মডেলকে জাতিসংঘ বিভিন্ন রাষ্ট্রে বাস্তবায়নের আহবান জানিয়েছে যা বাংলাদেশের জন্য অসাধারণ গর্বের বিষয়। এর মধ্য দিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলে এক অনুকরণীয় রাষ্ট্র হিসেবে অনন্য স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
বাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উদ্ভাবনী মডেল কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বাস্থ্য বিষয়ক রেজুলেশন করে বিশ্বের অন্য দেশগুলোকে বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাটি বাস্তবায়নের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
কমিউনিটি ক্লিনিক বাংলাদেশে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের সবচেয়ে বড় উদাহরণ। এখানে জমি জনগণ দিচ্ছে, ভবন নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার, সেবাদানে স্বাস্থ্যকর্মী দিচ্ছে সরকার। ঔষুধ যন্ত্রপাতিসহ সকল উপকরণ দিচ্ছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উদ্যোগকে জাতিসংঘ স্বাস্থ্য সেবা ও পরিচর্যা প্রদানের ক্ষেত্রে অংশীদারত্বের একটা উজ্জল দৃষ্টান্ত হিসাবে বিবেচনা করেছে।
বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতের উন্নতির পেছনে কমিউনিটি ক্লিনিকের অবদান অপরিসীম। স্বাস্থ্য সেবার উন্নতি, মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে নতুন নতুন সৃষ্টিশীলতা সবই কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমেই শুরু।
কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সেবার মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, গর্ভবতী এবং প্রসূতির স্বাস্থ্য, নবজাতক এবং শিশুদের স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, পুষ্টি সেবা, ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা, সংক্রামক-অসংক্রামক যাবতীয় রোগের চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক আজ বিশ্বব্যাপী একটা অসাধারণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবর্তিত কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বাংলাদেশে শিশু ও মাতৃ মৃত্যু হ্রাস পেয়েছে, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ হয়েছে।
উলে­খ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার ক্ষমতায় এসে ১৯৯৮ সালে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলটি চালু করেন। পরবর্তীতে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মডেল কর্মসূচিকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন।

Post Under