সম্পাদকীয়:
আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার শুধু একটি নাম-ই নয়, কুমিল্লার হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে এটি বিশ্বস্থ আশ্রয়স্থল ও অভিভাবকের নাম। কুমিল্লার ডিসি অফিসের সম্মেলন কক্ষে পূজা উদযাপন প্রস্তুতি ও মতবিনিময় সভায় সহজ-সরল ও সত্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে পূজা উদযাপনকে কেন্দ্র করে বলা কিছু কথাকে কাট-ছাট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেন অল্প কয়েকজন চিহ্নিত রাজনীতিবদি ও গুটিকয়েক হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। প্রথম ষড়যন্ত্র শুরু করেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক এক নেতা যিনি বিগত কমিটিতে বিশৃঙ্খলা ও নিষ্ক্রিয় এবং গ্রুপিং সৃষ্টি করার কারনে গত কমিটিতে পদবঞ্চিত হয়েছেন। তাছাড়া কুমিল্লার কয়েকজন সাংবাদিকও এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার। অবশ্য গত বছর মহানগর আওয়ামীলীগের ত্রী বার্ষিক সম্মেলন ও কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করেও কুমিল্লাতে লাশ ফেলতে চেয়েছিল এই কুচক্রী মহলটি। কুমিল্লাতে আবারো দাঙ্গা সৃষ্টি করে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে এমপি বাহারকে ভিলেন বানানোর অপচেষ্টা করেছেন তারা।
কিন্তু কুমিল্লার হিন্দু নেতারা, পূজারী ও সাধারণ হিন্দুরা গত ১২ অক্টোবর দুপুরে টাউনহলে সমবেত হন এমপি বাহারের ডাকে। এমপি বাহারের জন্য সাথে নিয়ে আসেন নাড়ুু, সন্দেশ, পিঠা ও মিষ্টি। এমপি বাহারের বক্তব্যকে সমর্থন করেন তারা। তিল ধারনের ঠাই ছিলনা সেদিন টাউনহলে। তাঁরা (হিন্দুরা) বলেন, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি সারাজীবন হিন্দুদের পাশে দাড়িয়েছেন। কুমিল্লার শ্বশান, মন্দির উন্নয়নে কোটি কোটি টাকার বরাদ্ধ দিয়েছেন। তাদের বিপদে পাশে দাড়িয়েছেন। যে কোন সমস্যায় সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন। কুমিল্লার নানুয়া দিঘীর পাড়ে পূজা মন্ডপে কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে শুরু করা তান্ডব বন্ধ করতে সৌদি আরব থেকেও হিন্দুদের জান মাল রক্ষায় ঝাপিয়ে পড়ার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে দ্রুত দেশে এসে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে দাড়িয়েছিলেন। আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার জন্য নিরলস কাজ করেছেন।
অথচ সেই মানুষটিকে হিন্দুদের থেকে দূরে সড়ানোর জন্য ষড়যন্ত্র শুরু হয়। কিন্তু আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার সারাজীবন ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই রাজনীতি করেছেন। যতই ষড়যন্ত্র হয়েছে তিনি আরো শক্তিশালী হয়েছেন। দুর্গা পূজায় যাতে কোন বিশৃঙ্খলা কেউ করতে না পারে সেজন্য তিনি সিটি ও উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ড এবং মন্ডপ ভিত্তিক নেতাকর্মীদের দিয়ে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া, পূজার প্রথম দিন থেকেই এমপি বাহার মহানগরীর সকল মন্ডপে মন্ডপে গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু করেছেন। রবিবার বিকাল থেকে কুমিল্লার কালীরবাজার ইউনিয়ন, দুর্গাপুর উত্তর, আমড়াতলী ও পাঁচথুবী ইউনিয়নের মন্ডপে মন্ডপে গিয়ে সনাতন ধর্মালম্বীদের সাথে শুভেচ্চা বিনিময় করেন। তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় সনাতন ধর্মালম্বীরা উলু ধ্বনি আর ফুলেল শুভেচ্ছায় ও উচ্ছ্বাসের সাথে বরণ করে নেন তাদের প্রিয় মানুষ এমপি বাহারকে। তাদের
এমপি বাহার এই জনপদের একজন অভিভাবক। হিন্দু বৌদ্ধ, খৃষ্টান সকল ধর্মের মানুষের কাছে একটি বিশ্বস্থ নাম। ষড়যন্ত্র করে সনাতন ধর্মালম্বীদের হৃদয় থেকে আলাদার পন্ডশ্রম হয়তো ষড়যন্ত্রকারীরা করতে পারে, কিন্তু সফল হওয়া ততটা সহজ নয়।