সরাইলে প্রতিবেশীর আঘাতে বৃদ্ধার মৃত্যু

 

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বাড়ির উপর দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা দিতে হবে। নচেৎ ঘর তুললে চাঁচা দিতে হবে। এমন অন্যায় আবদার প্রতিবেশীর। এসব নিয়ে বাকবিতণ্ডা, হাতাহাতির এক পর্যায়ে বৃদ্ধা আবেদা খানম এগিয়ে এলে তার উপরও চড়াও হন। প্রতিবেশীর এলোপাথারি কোপানো ও লাঠিপেটায় শেষতক মৃত্যু ঘটে বৃদ্ধা আবেদা খানমের। বর্বরোচিত ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা এলাকার।

শুক্রবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান আবেদা খানম।এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের কাকরিয়া মনিরামপুর গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত আবেদা ওই গ্রামের আহম্মদ আলীর স্ত্রী।

নিহতের পরিবার, এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মনিরামপুর গ্রামের আবেদা খানমের বাড়ির উপর দিয়ে প্রতিবেশী রবি মিয়ার পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরেই যাতায়াত করেন। কয়েকদিন আগে আবেদা বেগমের দুই ছেলে নিজেদের বাড়িতে পাশাপাশি ঘর তুলতে যান। কাগজে রাস্তা না থাকলেও মানবিক দিক বিবেচনা করে রবি মিয়ার বাড়ির লোকজনের যাতায়াত সুবিধায় তিন হাত প্রশস্ত রাস্তা রেখে ঘর নির্মাণ শুরু করেন। এসময় প্রতিবেশী রবি মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে এবং রাস্তার কথা বলে ঘরের পাশ থেকে কিছু জায়গা ছাড়তে বলেন। রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের লোকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। এরই মাঝে বৃহস্পতিবার রাতে মানিক মিয়া রাস্তার জায়গা কম হয়েছে বলে দাবি করে আবেদার ছেলে সাইফুল ইসলামসহ অন্যদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়ান। এসময় আবেদা বেগম ছেলেদের ফেরাতে গেলে মানিক মিয়া একটি কাঠ দিয়ে তার মাথায় আঘাত করাসহ এলোপাথারি কুপিয়ে আহত করেন। সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় আবেদাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে শুক্রবার দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে বৃদ্ধা আবেদা মারা যায়।

সরাইল থানার পরিদর্শক (ওসি) এ.এম.এম নাজমুল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Post Under