সাকিব ওয়ানডে অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ে নাম্বার ওয়ান

একবছরের জন্য নিষেধাজ্ঞার শাস্তি শোনার সময় সাকিব আল হাসান ছিলেন ওয়ানডে ক্রিকেটে আইসিসির অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ে নাম্বার ওয়ান। সাকিবের সেই এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ। অপেক্ষা করছেন মাঠে নামার। কিন্তু ব্যাট-বল হাতে মাঠের নামার আগেই শুনেছেন আরেকটি সুখবর। এখনো তিনি ওয়ানডে ক্রিকেটের অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ে নাম্বার ওয়ান। এই বছরে সাকিব কোন ধরনের ক্রিকেট না খেললেও তাকে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান থেকে কেউ সরাতে পারেনি!

গেল বছরের অক্টোবরে নিষেধাজ্ঞা শোনার আগে সাকিব ওয়ানডে অলরাউন্ডারের র‌্যাঙ্কিংয়ে ছিলেন নাম্বার ওয়ান। তখন তার রেটিং পয়েন্ট ছিল ৩৯৪। র‌্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয়স্থানে ছিলেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবি। সাকিব নিষেধাজ্ঞায় পড়ার পর যথানিয়মে আইসিসির র‌্যাঙ্কিংয়ের তালিকা থেকে বাদ পড়েন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোহাম্মদ নবি শীর্ষস্থানে চলে আসেন।

কিন্তু পেছনের এক বছরে মোহাম্মদ নবিসহ কোন ক্রিকেটার সাকিবের সেই রেটিংকে ছাড়াতে পারেননি। তাই আইসিসি ৪ নভেম্বর যখন তাদের সর্বশেষ ওয়ানডে অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ের যে তালিকা প্রকাশ করে সেখানে রেটিং বিবেচনায় সাকিব আল হাসান আবার শীর্ষস্থান ফিরে পেয়েছেন।

আইসিসির নিয়মটা হলো- দেশের হয়ে কোন ক্রিকেটার ম্যাচ মিস করলে তার রেটিং পয়েন্ট কাটা যায়। সেই অনুযায়ী সাকিব তার নিষেধাজ্ঞা চলাকালে মাত্র তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ মিস করেছেন। তাই সবমিলিয়ে তার পয়েন্ট কাটা গিয়ে এখন সেটা দাড়িয়েছে ৩৭৩। তবে তাতে তার খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। কারণ এই বছরে নিজের রেটিং পয়েন্ট মোহাম্মদ নবি ৩০১ এর বেশি বাড়াতে পারেননি!

প্রতিটি সিরিজ শেষে আইসিসি তাদের র‌্যাঙ্কিংয়ের তালিকা প্রকাশ করে। ৩ নভেম্বর পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ে ওয়ানডে সিরিজ শেষ হয়েছে। তাই পরদিনই আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে। যেখানে সদর্পে অলরাউন্ডার কোটায় শীর্ষস্থানে লেখা বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানের নাম। গত বছর ২৯ অক্টোবর আইসিসির নিষেধাজ্ঞা শোনার আগে সাকিব টেস্ট অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ে ছিলেন তিন নম্বরে। টি- টোয়েন্টিতে তার অবস্থান ছিল দ্বিতীয় স্থানে।

Post Under