সিরাজুল হক মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সংবিধান প্রণেতা ছিলেন – কসবায় আইনমন্ত্রী
সিরাজুল হক এর ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও স্বরণসভা
(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
যারা বলে পাকিস্তানী আমলেই ভাল ছিলাম, তারা ৩০ লক্ষ শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করছেন, তারা বাংলাদেশকে অস্বীকার করেন। তারা বাংলদেশের উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্থ করতে চায়। তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ্যে করে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, কসবা-আখাউড়ার সাবেক সংসদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম সিরাজুল হক এর ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও স্বরণসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি এ কথাগুলি বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে এবং স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, তারাই আবার বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাঁগস্থ করতে ষড়যন্ত্র করছে।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামে পাকিস্তানী হানাদার বর্বর বাহিনীর অত্যচার আপনারা দেখেছেন। সেই যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদদের রক্তে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা এ দেশের জনগনের জীবনমান উন্নয়ন করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়িয়েছেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বানিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধন করেছেন এবং বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, তাঁর প্রয়াত পিতা সিরাজুল হক মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি এ এলাকার সংসদ সদস্য ছিলেন। এলাকার উন্নয়নে তিনি ব্যাপক অবদান রেখেছেন। দেশ স্বাধীনের পর তিনি সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা হিসাবে কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার রাষ্ট পক্ষের প্রধান কৌশলী ছিলেন।
কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানীর সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া ও স্বরণসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া, কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য ও কসবা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. আবদুল আজিজ, জেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য রুমানুল ফেরদৌসী, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. এমরান উদ্দিন, কসবা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. রুস্তম খা, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মো. আফজাল হোসেন, যুগ্ম আহবাযক কাজী মানিক ও আশরাফুল ইসলাম।
বক্তব্য রাখেন, গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, কাইমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. জাকির হোসেন প্রমুখ। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অংঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।